শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

জিহাদ থেকেও বেশি ফযীলতপূর্ণ হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমত করা

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। আর তোমাদের পক্ষে তা দেয়াও সম্ভব নয়। তবে যেহেতু তোমাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে হবে, তাই আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বিশ্ববিখ্যাত ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না, তবে তোমাদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে: তোমরা আমার নিকটাত্মীয় হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও বংশধরগণ উনাদের (যথাযথ সম্মান, আলোচনা ও খিদমত প্রদর্শনপূর্বক) হক্ব আদায় করবে।” আর উনাদের খিদমতই মুসলমানের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল।
খলিফায়ে ছালিছ আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বদর জিহাদ ছাড়া প্রায় সমস্ত জিহাদে তিনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে অংশগ্রহণ করেছেন এবং জিহাদে অঢেল সম্পত্তি হাদিয়া করেছেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র বদর জিহাদে রওয়ানা হন, তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুকাইয়্যা আলাইহাস সালাম তিনি অসুস্থতাকে গ্রহণ করেছিলেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি নিজ আহলিয়া আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্বা সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুকাইয়্যা আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়ার জন্য পবিত্র মদীনা শরীফ রয়ে যান।
পবিত্র বদর জিহাদ উনার বিজয়ের খবর যেদিন পবিত্র মদীনা শরীফে এসে পৌঁছলো সেদিনই অর্থাৎ ১৮ রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুকাইয়্যা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খলিফায়ে ছালিছ আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার জন্য পবিত্র বদর জিহাদে অংশগ্রহণকারীদের মতো ফযিলত ও গনীমতের অংশ ঘোষণা করেন। অর্থাৎ উনাকে বদরী ছাহাবী হিসেবে গণ্য করা হয়।
এখান থেকে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে যে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক খিদমত করার চেয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আর কোনো শ্রেষ্ঠ আমল নেই। মূলত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমত করা সমস্ত কিছু থেকে উত্তম এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জন্য জিহাদও সমতুল্য নয়। সুবহানাল্লাহ!
এক কথায় উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, সম্মান বেমেছাল তথা উনাদের মেছাল কেবল উনারাই। আর তাই যারা উনাদের আলোচনা, ছানা-ছিফত বর্ণনা করবে, খিদমত করবে তাদের জন্য রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খালিছ সন্তুষ্টি ও রেযামন্দি মুবারক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন