শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০১৫

কারামতে হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম

আকাঈদের কিতাবে আছে, ‘কারামাতুল আউলিয়ায়ে হাক্কুন।’ অর্থাৎ ওলীআল্লাহগণ উনাদের কারামত সত্য।
নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল,

সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম

তিনি হচ্ছেন- মহান আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত মহা সম্মানিতা আল্লাহওয়ালীগণ উনাদের শ্রেষ্ঠতমা ও অনন্যা। তিনি আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাক পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উজ্জ্বল ধ্রুব তারা। উনার মাথার তালু মুবারক থেকে পায়ের তলা মুবারক পর্যন্ত সবকিছুই হিদায়েতের নূর, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ এবং নাজ-নিয়ামত, কারামতে ভরপুর। বেমেছাল নববী নিসবতের প্রগাঢ়তা রয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয়া হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনার মাঝে। তিনি অনন্যা ও অসাধারণ একজন ওলীআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মতো ব্যক্তিত্বের শানে হাদীছে কুদসীতে ইরশাদ করেন- …………… অর্থ:নিশ্চয়ই হযরত আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনারা আমার কুদরতী জুব্বা মুবারক-এ আবৃত। উনাদেরকে আমি ছাড়া আর কেউ চিনে না। নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী মুদ্দা জিল্লুহাল আলী তিনি দায়েমীভাবে হাবীবী রঙে রঞ্জিত। মু’মিনাদেরকেও সেই রঙে রাঙান। উনার ছোহবত যারাই ইখতিয়ার করেছে তারা প্রত্যেকেই তা উপলব্ধি করেছে। পেয়েছে নাজ-নিয়ামত, নববী নিসবতের পরিপূর্ণ হিসসা। উনার মুবারক বিলাদত শরীফ উপলক্ষে নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনার অসংখ্য-অগণিত কারামত থেকে কয়েকটি কারামত উল্লেখ করার আশা করছি।
***************
নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনাকে আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মুহব্বত করি। দরবার শরীফ-এ অবস্থানকালীন সময়ে সবচেয়ে প্রথম মুহব্বত পয়দা হয়েছিলো উনার প্রতি। যা হৃদয়ের গহীনে লুকিয়ে ছিলো। পরবর্তীতে একদিন মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, পাক পাঞ্জাতনের প্রত্যেককেই যথাযথ মুহব্বত করতে হবে। উনাদের মুহব্বতের ক্ষেত্রে তারতম্য তথা কমবেশি করা মুরীদের জন্য আদব নয়। তখন আমি একেবারে নবাগত ছিলাম, তাই আদব কায়দাও ভালো জানা ছিলো না। ভুল বেয়াদবী ক্ষমা চেয়ে তাওফীক চাই পাক পাঞ্জাতনের প্রত্যেককে যথাযথ মুহব্বত করার।

****************
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহান দরবার শরীফ-এ খিদমতের বিশাল আশা পোষণ করে আগমন এই অধমার। সেই বৎসরেরই ঘটনা। সবেমাত্র আমার খিদমতের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। আদব কায়দাও ভালো জানা নেই। ঠিক তখনই ঘটে গেলো আমার জীবনের পরিবর্তনের সূচনা। পীরবোনদের মধ্যে অনেকেই আহলে বাইত শরীফ উনাদের খিদমতে যায়। আমার মনেও একান্ত বাসনা জাগ্রত হলো। মহান আল্লাহ পাক ও পবিত্র আহলে বাইতগণ উনারাও কবুল করেছিলেন। যদিও আমার কোনো যোগ্যতাই ছিলো না। তদুপরি একদিন নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনার খিদমতে কয়েকজন গেলাম। আমি মাথা মুবারক-এর সামনে খিদমতে নিয়োজিত। এক সময় আমি ব্যতীত সকলেই ঘুমিয়ে পড়লো এবং নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনিও ঘুমিয়ে গেলেন। তখনই ঘটে গেলো এক অত্যাশ্চর্যজনক কারামত। নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, কায়িম-মাকামে উম্মে কুলসুম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনার কপাল মুবারক-এর মধ্যখানে যেনো আরশী নূর ঝলমল করছে। তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর কে যেনো আমাকে বার বার বলতেছেন- ওই নূরে চুম্বন করো তাহলে তুমি পাবে নববী নূরের বরকতময় হিসসা। তৎক্ষণাৎ তাই করলাম এবং সাথে সাথে আমার মনে হলো যেনো আমার ভিতরে প্রবেশ করলো নববী নিসবতের সাকীনা। অন্তর ইতমিনান হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! পরক্ষণেই ভয়ে কাঁপছি এই ভেবে, হায়! নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনি জাগ্রত হয়ে যদি জানেন তাহলে নিশ্চয়ই আমার উপর রাগান্বিত হবেন। তথাপিও জাগ্রহ হলে ভয়ে ভয়ে বিস্তারিত ঘটনাটি জানালাম এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলাম কান্নারত অবস্থায়। উনি প্রথমে একটু গম্ভীর স্বরে বললেন, তুমি কেনো এরূপ করেছো? পরক্ষণেই যখন দেখলেন আমি ভয়ে কাঁপছি তখনই অপূর্ব এক মুবারক হাসি হেসে ক্ষমা করে দিলেন। কতো কোমল, কতোই না দরদমাখা উনার মন ও প্রাণ। সুবহানাল্লাহ! সেই দিন থেকেই মনের মাঝে তোলপাড়ের সূত্রপাত। দোয়া ভিখারি হলাম নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনার ক্বদম পাক-এ। হে প্রাণ প্রিয়া শাহযাদী! আমি চাই আপনাদের দায়িমী নিসবতে নিছবতময় হয়ে থাকতে আজীবন। শাহযাদীজান তিনি কিছুক্ষণ নীরব থেকে উত্তর দিলেন, আচ্ছা ঠিক আছে। তবে তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ফরিয়াদ জানাও তিনি যেনো কবুল করে নেন। আমি দরবার শরীফ-এ খোদা পাক উনার দ্বারে দোয়ায় নিমগ্ন হলাম। তারপর ঘটতে থাকলো আমার জীবনে শাহযাদী জান উনার একের পর এক কামারতের বহিঃপ্রকাশ।
*****
একদিন এক বিশেষ সফরে কোন কারণবশত নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনার নীরবে চোখের পানি ঝরছিলো। চেহারা মুবারক রক্তিমাকার ধারণ করলো। আমি যখন উনার চেহারা মুবারক-এর দিকে দৃষ্টিপাত করলাম সেই মুহূর্তে আমার সমস্ত শরীর ভয়ে কাঁপছিলো এবং শরীরের পশম শিউরে উঠলো। আমার মনের ভিতরে যেনো কেউ চিৎকার করে কান্না করছিলো। আর বলতেছিলো, দেখো! দেখো!! কার চোখের পানি ঝরছে দেখ! যাঁর চোখের পানি দেখে সমস্ত আসমানবাসী, যমীনবাসী এমনকি আরশে আযীম পর্যন্ত কাঁপছে। তোমরা তা দেখে কিভাবে সহ্য করছো? মূলত, আমার পক্ষেও সহ্য করা অত্যন্ত কঠিন হয়েছিলো। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি উনাকে খুশি করার জন্য, হাসি মুখ করার জন্য। কিন্তু কোনোভাবেই তা পারছিলাম না। তখন আমার মনে পড়ল, কায়োমনে হযরত শায়েখ ক্বিবলা ক্বি‌বলা আলাইহিস সালাম উনার দিকে রুজু হলে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা তা সহজ করে দেন। তখন আমি সত্যিই হযরত শায়েখ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার দিকে রুজু হলাম এবং নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনাকে খুশি করতে পারলাম, হাসাতে পারলাম। ওই দিনের সেই ক্ষুদ্র আমলে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। সেই দিন রাতেই সফররত অবস্থায় আমি স্বপ্নে দেখলাম। (স্বপ্নটা যদিও অনেক বড় আমি সংক্ষিপ্ত বলছি) আমি হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার দুধ মুবারক পান করে ফেলেছি। যা একান্ত গোপনে আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি একজন বিশেষ খাদিমাকে এমন জায়গায় পুঁতে রাখতে বলেছিলেন তা যেনো কেউ না পাড়ায়। আমি সেই খাদিমার হাতে দুধ মুবারক পূর্ণ সেই কাপটি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- এই কাপে কি রয়েছে? সে প্রথমে বলতেই চাইলো না। পরে সে খুব জোরাজুরির কারণে বললো হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার দুধ মুবারক। জিজ্ঞাসা করলাম কি করবেন? সে বললো, এমন জায়গায় রাখবো যাতে কেউ এর অসম্মানী করতে না পারে। তখন আমি তা দেখার জন্য তার নিকট খুব অনুনয়-বিনয় করতে লাগলাম; এক সময় সে তা আমাকে দিলো। কিছু না বলে সাথে সাথে আমি তা পান করে ফেলি। তখন সে আমার উপর খুব রাগান্বিত হলো। সে বললো, দুধ সন্তান হওয়ার সময় তো আড়াই বৎসর পর্যন্ত। এরপর তো তা পান করা হারাম। আমি বললাম, কেনো? উনারা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক ও ইস্তেঞ্জা মুবারক হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পান করে ছিলেন না? রক্ত ও ইস্তেঞ্জা পান করাও তো হারাম। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিছবত-তায়াল্লুক হওয়ার কারণে তা জায়িয হয়েছে। তাহলে কেনো আমার জন্য এ দুধ মুবারক পান করা হারাম হবে? আমিও তো উনার লখতে জিগার, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নিছবতময় পবিত্র জিনিস পান করেছি। যদিও আমি না-লায়েক, অধম, আমার কোনো যোগ্যতা নেই উনাদের সাথে নিছবত করার; কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব এবং শায়েখ তো তা দান করতে সক্ষম। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া যে, জাগ্রত অবস্থায় সম্ভব না হলেও স্বপ্নে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে নিছবতের এই চরম ও পরম নিয়ামত দান করেছেন। নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী মুদ্দা জিল্লুহাল আলী উনাকে খুশি করার বিনিময়ে। সুবহানাল্লাহ! সেই সফর থেকে আবার দরবার শরীফ-এ ফিরে আসার পর পুনরায় স্বপ্নে দেখলাম সাইয়্যিদ বংশ তথা একজন আওলাদে রসূল উনার সাথে আমার বিবাহ হয়েছে। আর আমার গর্ভেও রয়েছে একজন আওলাদে রসূল। তাকে হিফাজত করার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি। (এই স্বপ্নটাও বড়) মূল কথাটুকু শুধু বলেছি। আসলে সত্যি বলতে কি- আমার একান্ত উপলব্ধি এই স্বপ্নটাও আমার জন্য হযরত শায়েখ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনাকে খুশি করানোর বদৌলতে। স্বপ্নেও নিয়ামত প্রাপ্তি এবং বাস্তবেও নিয়ামত প্রাপ্তি। হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বি‌বলা আলাইহিস সালাম ও হযরত আম্মা হুযূর ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনাদের লখতে জিগার নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনাকে কান্নারত অবস্থা থেকে হাসানোর এই ক্ষুদ্রতম আমলের কারণে। আরো কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা কেবল আমার প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বি‌বলা আলাইহিস সালাম ও হযরত আম্মা হুযূর ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম উনারাই ভালো জানেন। এরপর আমি আরো অনেক নিয়ামত লাভ করেছি খাদিমা থাকাকালীন। যার যোগ্য আমি ছিলাম না; আম্মাজী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম ইহসান করে আমাকে দান করেছেন। আসলে বাস্তবে আমি যদিও একেবারেই অনুপযুক্ত কিন্তু অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আমি চাই যেনো আমার হায়াত মউত সবই যেনো হয় উনাদের নিছবত যুক্ত।
******************
কি শান, কি কারামত আমি বলবো, লিখবো আমার মতো নাদানের পক্ষে তা কি আদৌ সম্ভব। তবুও আমি আশা করছি উনাদের পাক পাঞ্জাতনের প্রত্যেকেরই বিলাদত উপলক্ষে আমি আমার মাঝে ঘটে যাওয়া কারামতগুলো উল্লেখ করবো। ইনশাআল্লাহ! আসলে মানুষের কিছুটা উপলব্ধি করার জন্য এই লিখা। লিখে, বলে তো উনাদের শান-মান কিছুই শেষ হবে না বরং খাতার পর খাতা, আর কলমের পর কলমই শেষ হবে কিন্তু বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। এরূপ অসংখ্য, অগণিত কারামত রয়েছে। আরো অনেক অনেক আশ্চর্যান্বিত কারামত রয়েছে আমার জানা আমার দেখা। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওফীক ইনায়েত করলে অবশ্যই পরবর্তীতে সেগুলো লিখবো ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল ইজ্জত, উনার দ্বারে এই আহকার বান্দির ফরিয়াদ- আয় আল্লাহ পাক! আমি এবং আমরা সকলে যেনো খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বি‌বলা আলাইহিস সালাম ও উনার পবিত্র আহাল পাক শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দায়িমী নিছবত ও গোলামীতে ইস্তিকামত থাকি যেনো আবাদুল আবাদ।

(আমীন, ছুম্মা আমীন)

[উপরোক্ত লেখাটি সংকলিত]
নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল,

সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বি‌বলা আলাইহাস সালাম

উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ (১৯ শে রবীউছ শানী) উপলক্ষে সবাইকে জানাই-

ঈদ মুবারক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন