বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

শোকরান শোকরান শোকরান শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাতাইন

শোকরান শোকরান শোকরান
শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাতাইন
আপনাদের মুবারক তাশরীফান
বাঁকা হিলালের তরে, ঘুরে এলো মহিমান্বিত ২৯শে শা’বান।
তৃষিত পৃথিবী সিঞ্চিত রহমতে বারী পেল অফুরান
আকুল আকাশ ব্যাকুলভাবে দেখে জুড়াল প্রাণ।
গাছ-পালা তরুলতা
ফিরে পেল অভাবনীয় সজীবতা
নদী-সাগরে বহে অপূর্ব প্রস্রবণী ধারা
পাহাড়-পর্বত মরুভূমিতে রহমতী ফাল্গুধারা
প্রকৃতিতে অপূর্ব নব সাজ, মহা আনন্দের অভূতপূর্ব ঘনঘটা
বর্ষে বেশুমার রহমত, বরকত, নাজাত আর সাকীনা।

২৯শে শাবান
এ কী? হীরন্বয়ী প্রতীকী দিন।
দারপ্রান্তে রহমত-বরকত-নাজাতে রমাদ্বান সমাসীন।
শোকরান শোকরান শোকরান
শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাতাইন
খাজীনাতুর রহমাহ হয়ে আপনাদের তাশরীফান
বরকতের ভাণ্ডার হয়ে আপনাদের তাশরীফান
নাজাতের কিশতী হয়ে আপনাদের তাশরীফান।
বুভুক্ষু যে রোহিঙ্গা শিশু মায়ের শুষ্ক দুধ এমনিতেই চুষছিলো
আপনাদের বরকতে সেখানে দুধের বান ডাকলো
ইরাকের যে নারী সম্ভ্রমহরণের মুখোমুখি হয়েছিলো
আপনাদের কারামতে খোদায়ী ফেরেশতা সেখানে নাযিল হলো।
সিরিয়ার যে উদ্বাস্তু হন্যে হয়ে ঘুরছিলো
আপনাদের আগমনে সে শীতল আশ্রয় পেলো।
সোমালিয়ার যে দুর্ভিক্ষপীড়িত শিশু মৃত্যুর প্রহর গুণছিলো
আপনাদের ফযীলতে সে নবজীবন ফিরে পেলো।
মুমুর্ষু যে মা হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলো
আপনাদের নেক নজরে সে প্রাণ ফিরে পেলো
ফোরাতের তীরে যে কুকুর ক্ষুধায় ছটফট করছিলো
আপনাদের বরকতে সেও কুদরতী রিযিক পেলো।
কুল-কায়িনাতের দুঃখী আর্তনাদী-ফরিয়াদী
সবাই যে পেল আপনাদের উছীলায় মুক্তি।
পাপাচারে বিপর্যস্ত যে মানবজাতি গোমরাহ হয়েছিলো
আপনাদের বিকশিত নূরে
তাদের অন্তরে হিদায়েতের কুওওয়াত তৈরী হলো।
শোকরান শোকরান শোকরান
শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাতাইন
ইমামুল হুমামাইন
নববী কাঁধে যেভাবে দৃশ্যমান
আপনারা সে স্মৃতিচারণ করছেন অম্লান
আপনারা যে মুবারক কাঁধে
তাবাসসুম দিয়ে
মুবারক দন্ডায়মান
তিনি যে আপনাদের মহিমান্বিত নানাজান
যামানার ইমাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে যামান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন