রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ- নববী কানন মুবারকে নূরী ফুল, আওলাদুর রসূল, পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমণি সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ; যা কুল মুসলিম উম্মাহ উনাদের সবচেয়ে বড় ঈদ বা খুশির দিন

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لَّا اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرً‌ا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْ‌بٰى
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাই না, অর্থাৎ উম্মতের পক্ষে বিনিময় দেয়াও কখনোই সম্ভব নয় এবং বিনিময় দেয়ার চিন্তা-ফিকির করাটাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তবে উম্মতকে যেহেতু নাজাত লাভ করতে হবে সেজন্য তাদের কর্তব্য হচ্ছে, তারা যেন আমার পবিত্রতম একান্ত আপনজন অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرة ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احبوا الله لـما يعذوكم من نعمة واحبونى لـحب الله واحبوا اهل بيتى لـحبى.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমরা মুহব্বত করো; কেননা তিনি খাওয়া-পরার মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্রতম মুহব্বত হাছিলের জন্য। আর আমার হযরক আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তোমরা মুহব্বত করো আমার পবিত্রতম মুহব্বত মুবারক হাছিলের জন্যেই।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
এ হাদীছ শরীফ খানা উনার মাধ্যমে তিনটি পবিত্রতম ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। প্রথমত, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পবিত্রতম মুহব্বত স্থাপন করা ফরয।

দ্বিতীয়ত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্রতম মুহব্বত স্থাপন করা ফরয।
তৃতীয়ত, পবিত্রতম হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি মুহব্বত স্থাপন করা ফরয।
এই তিনটি ফরয মুবারক পারস্পারিক এমনিভাবে স্পর্কযুক্ত যে, কোনো একটিকে ব্যতিরেকে কোনোটাই হাছিল করা সম্ভব নয়।
কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে হলে মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে হবে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে হলে উনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করতে হবে ও সন্তুষ্ট করতে হবে। মূলত, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্রতম মুহব্বতই হচ্ছেন পবিত্রতম ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যারা মুহব্বত করবেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধুমাত্র তাদেরকেই শাফায়াত করবেন:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرة على عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم شفاعتى لامتى من احب اهل بيتى وهم شيعتي
অর্থ: “হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার পবিত্রতম সুপারিশ শুধু মাত্র আমার উম্মতের মধ্যে ঐ ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি আমার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত করে। আর প্রকৃতপক্ষে উনারাই হলেন আমার পবিত্রতম পরিবারভুক্ত সম্প্রদায় অর্থাৎ অনুসারী।” সুবহানাল্লাহ! (জামিউল আহাদীছ, কানযুল উম্মাল)
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قال النبى صلى الله عليه وسلم “اربعة” انا لهم شفيع يوم القيامة. المكرم لذريتى، القاضى لهم حوائجهم، الساعى فى امورهم عند اضطرارهم اليه، المحب لهم بقلبه ولسانه
অথ : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি চার শ্রেণী লোকের জন্য ক্বিয়ামতের দিন অবশ্যই সুপারিশ করবো অর্থাৎ দুনিয়া-আখিরাতে সর্বস্থানে সবসময় তাদের জন্য সুপারিশ করবো-
(ক). যে ব্যক্তি আমার পবিত্রতম বংশধর তথা আমার পবিত্রতম হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম, ইয্যত-সম্মান মুবারক করবেন।
(খ). যে ব্যক্তি আমার পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের চাহিদা পুরা করবেন তথা উনাদের মালি তথা আর্থিক খিদমতে মুবারক-এ যারা আঞ্জাম দিবেন।
(গ). যে ব্যক্তি আমার পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কোনো কাজের বা খিদমতের প্রয়োজনে শারীরিক খিদমতের আঞ্জাম দিবেন তথা জান-প্রাণ দিয়ে উনাদের খিদমত মুবারক-এ আঞ্জাম দিবেন- আমি তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন- মুছিবতের দিন অবশ্যই সুপারিশ করবো তথা সুপারিশ করে পবিত্র জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিবো। সুবহানাল্লাহ!
(ঘ). যে ব্যক্তি তার কলব বা অন্তর দ্বারা এবং যবান বা মুখ দ্বারা উভয় দিক থেকে আমার পবিত্রতম হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন তাকে শাফায়াত করে পবিত্র জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিবো। সুবহানাল্লাহ! (আল বুরহানু ফী তাফসীরিল কুরআন লিল বাহরানী ১/২৩, তাফসীরু নূরিছ ছাক্বালাইন লিল হুয়াইযী ২/৫০৪, আউলিয়া আল্লাহি বাইনাল মাফহূমিছ ছূফী লি-আবদির রহমান আদ দামিশক্বী, দ্বূয়িশ শামস ১/২৫১, ২৫৫, যাখায়িরুল উকবা/১৮)
পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই হচ্ছেন সমস্ত কায়িনাতের নিরাপত্তা দানকারী। উনারা যখন থাকবেন না, তখন কায়িনাত ধ্বংস হয়ে যাবে:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَةْ سَلمَةَ بْنِ الأَكْوَع رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُومُ أَمَانٌ لِأَهْلِ السَّمَاءِ، وَأَهْلُ بَيْتِي أَمَانٌ لِأُمَّتِيْ.
অর্থ: “হযরত সালমা ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আকাশের তারকারাজি আসমানবাসীদের জন্য নিরাপত্তাদানকারী। আর আমার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ তথা আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা আমার উম্মত তথা গোটা কায়িনাতবাসীর একমাত্র নিরাপত্তা দানকারী তথা নাজাত দানকারী।” সুবহানাল্লাহ! (কানযুল উম্মাল)
কাজেই উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পবিত্র আহলে বাইত শরীফ তথা আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করাই হচ্ছে পবিত্র ঈমান। যার অন্তরে আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত নেই তারা কস্মিনকালেও মুসলমান নয় এবং সে শাফায়াতও পাবে না। (নাউযুবিল্লাহ)
যে ব্যক্তি পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তার জন্য শাফায়াত হারাম:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,
عن حضرة انس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من أبغض أحداً من أهل بيتي، فقد حرم شفاعتي بأني نبي مكرم، بعثني الله بالصدق، فحبوا أهل بيتي وحبوا علي-
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবে সে আমার পবিত্রতম শাফায়ত থেকে চির বঞ্চিত থাকবে। নাউযুবিল্লাহ! কেননা, আমি হচ্ছি মহা সম্মানিত পবিত্রতম নবী ও রসূল তথা সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আমাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন। কাজেই তোমরা আমার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এবং আমাকেই মুহব্বত করো।” (যখীরাতুল হুফ্ফায, তাফসীরে রূহুল বয়ান)
যারা পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর যুলুম করবে তাদের জন্য পবিত্র জান্নাত হারাম এবং তার উপর জাহান্নাম ওয়াজিব:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حرمت الجنة على من ظلم اهل بيتى …..
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার পবিত্র আহলু বাইত শরীফ উনাদের উপর যারা যুলুম করবে বা অবিচার করবে তাদের জন্য পবিত্র জান্নাত চিরতরে হারাম হয়ে যাবে তথা তাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব।” নাউযুবিল্লাহ!
যে ব্যক্তি পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কষ্ট দিল সে মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকেই কষ্ট দিলো তথা সে গযবে পতিত হলো:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرة على عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قال “من اذانى فى اهلى، فقد اذى الله عز و جل”
অর্থ: “হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার পবিত্রতম পরিবার তথা পবিত্রতম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দেয় বা দিবে সে ব্যক্তি মূলত মহান আল্লাহ পাক উনাকে কষ্ট দেয় বা দিবে।” নাউযুবিল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফী ছীরাতি খাইরিল ইবাদ, আবূ নুয়াইম)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা স্পষ্টভাবে কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম মুহব্বত মুবারক লাভ করা প্রত্যেকের জন্য ফরযে আইন এবং রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ! পক্ষান্তরে উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা বেঈমান, কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদ-দ্বীন ও জাহান্নামের কীট হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ! কেননা পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম মুহব্বত উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনাকে যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে আলাদা করা যায় না, ঠিক অনুরূপভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ‘নূরুন নাজাত’ মুবারক ও নূর মুবারক থেকে আগত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে আলাদা নন। সুবহানাল্লাহ! একই পবিত্রতম নূর মুবারক উনার সাথেই সম্পৃক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন কুল-কায়িানতবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত। ঠিক একইভাবে উনার পবিত্রতম আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারাও সমগ্র কুল-কায়িনাতবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত। সুবহানাল্লাহ! এ কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ ‘পবিত্রতম ফরযকরণের মাধ্যমে’ পবিত্রতম আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করা ফরয করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এই ধারাবাহিকতায় পবিত্রতম ফরয আদায় ও সীমাহীন রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত এবং গভীর তায়া’ল্লুক ও নিসবত হাছিলের লক্ষ্যে কুল-কায়িনাতের যিনি একমাত্র হিদায়েত উনার সুমহান ধারক-বাহক, মহান মুক্তির দিশারী, নাজাতের একমাত্র কান্ডারী, দুনিয়া ও আখিরাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম লখতে জিগার আখাছছুল খাছ আওলাদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদের পবিত্রতম লখতে জিগার, “নববী স্নিগ্ধধারা মুবারক” উনার নূরী ফুল, জান্নাতী মেহমান, কুল-মুসলিম উম্মাহ উনাদের মুক্তির দিশারী, নাজাতের তরী, খাযীনাতুর রহমাহ, ছাহিবাতুত তাক্বওয়া, ছাহিবাতু মাক্বামিল মাহমূদ, ছাহিবাতুল কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবাতুল উছওয়াতুল হাসানাহ, ছাহিবাতুন নাজাত, উম্মু আবীহা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ হচ্ছে ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় পবিত্রতম ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ; যা কুল-কায়িনাতবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
তাই কুল-কায়িনাতের সকল জিন-ইনসান উনাদের ঈমানী দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ অত্যন্ত শান-শওকতের সাথে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ বা খুশি হিসেবে পালন করা।
তাহলে যামানার মহান ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, ক্বাইয়্যুমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বাবিউল আউওয়াল, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম, উম্মুল খাইর, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম, বিশেষ করে যিনি মহান এই পবিত্রতম ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ উনার মূল মধ্যমণি ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনারসহ সকল হযরত আহলে বাইত শরীফ ও হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাঝে গভীর থেকে গভীরতম মুহব্বত, মা’রিফাত, তায়া’ল্লুক ও নিসবত হাছিল করা অতি সহজ ও সম্ভব। সুবহানাল্লাহ! সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি, তায়া’ল্লুক-নিসবত ও মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিল হবে ইনশাআল্লাহ। (আমীন)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন