শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সুমহান শান

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হাবীবুল্লাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ কোটি রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, দয়া-দান, ইহসান মুবারক যার কারণে আমরাসহ সারা কায়িনাত আমা
দের দোজাহানের মমতাময়ী মাতা আদরণীয় মা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে লাভ করেছি।
আমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আমরা যত নিয়ামত লাভ করেছি তার মাঝে অন্যতম ফযীলত এই যে, শুধুমাত্র উম্মত হিসেবে আমরাই সরাসরি আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে লাভ করেছি। অর্থাৎ এ উম্মত তথা আমরাই একমাত্র উম্মত যারা সরাসরি আলে রসূল, আওলাদে রসূল তথা আহলে বাইত উনাদের খিদমতের সুযোগ লাভে ধন্য হয়েছি, আর অন্য উম্মতরা ধন্য হতে পারেনি। 
এ কথা আজ কোনো সমঝদার মুসলমান উনাদের অজানা থাকা ঠিক হবে না, নারীদের মাঝে তথা মহিলা অঙ্গনে যত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাশরীফ এনেছেন, আছেন এবং আসবেন উনাদের সকলেরই শ্রেষ্ঠা আমাদের প্রাণপ্রিয়া সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি খাছভাবে জাত-ছিফাত, যাহির-বাতিন সবদিক থেকেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ আওলাদ পাক আলাইহাস সালাম।
বেমেছাল নববী নিসবত, প্রগাঢ় নবীপ্রেম, অতুলনীয় ইলম ও প্রজ্ঞার ধারণকারিণী, ঈমান ও আক্বীদা নবায়নকারিণী, বেশুমার কারামতসম্পন্না, লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, সুন্নতের পরিপূর্ণ পাবন্দ ও জিন্দাকারিণী, বেমেছাল আমল ও ইস্তিক্বামতের অধিকারিণী, অবর্ণনীয় রিয়াযত-মাশাক্কাতকারিণী, সমস্ত তরীক্বায় পূর্ণাঙ্গ কামিয়াবী হাছিলকারিণী, হাদীয়ে আ’যম হিসেবে মহিলা তা’লীমগাহে নছীহত ও তা’লীম প্রদানকারিণী সর্বোপরি হযরত সাইয়্যিদুনা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিবিড় সান্নিধ্য সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল উমাম আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে পরিপূর্ণরূপে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের রঙে রঞ্জিত করেছেন। (সুবহানাল্লাহ)
আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম, মামদূহ হযরত সাইয়্যিদাতুনা আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অসংখ্য অগণিত মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান-বুযুর্গী, সম্মান-ইজ্জতের মাঝে “বেহিসাব কারামত” বিশেষ একটি শান। তিনি তো এমন এক মহান লক্ষ্যস্থল ব্যক্তিত্ব যিনি দায়েমিভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক দীদারে, উনাদের মুহব্বতে, উনাদের আদরে মশগুল রয়েছেন। (সুবহানাল্লাহ)
আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় কারামত মুবারক, উনার সবচেয়ে বড় শান, উনার সবচেয়ে বড় হাক্বীক্বত এই যে, তিনি পরিপূর্ণভাবেই যিনি খলীফাতুল্লাহ, যিনি খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে হাছিল করেছেন। উনার মুহব্বত, মা’রিফাত, সন্তুষ্টি, যাহিরী-বাতিনী সব নাজ-নিয়ামত তিনি নিবিড় ও এককভাবে লাভ করছেন। যা কায়িনাতের কেউ আর কখনোই লাভ করতে পারবে না। তিনি উম্মাহকে, সারা কায়িনাতকে হাদিয়া করেছেন এমন মুবারক আহলে বাইত শরীফ, উনারা সৃষ্টির ইতিহাসে বিরল ব্যক্তিত্ব, উম্মাহর রাহবার, হিদায়েতের কা-ারী। সুবহানাল্লাহ!
উনার সুমহান জীবন মুবারক উনার মাঝে প্রত্যেক ক্ষণে ক্ষণে রয়েছে চমৎকার সব বরকতপূর্ণ কারামত; যা প্রকাশ, জানা ও আলোচনা করা সত্যিকার অর্থেই অপরিহার্য। 
কিন্তু অক্ষম, অধমা, গুনাহগার, ফাসিক, ফুজ্জারের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা অন্ধ ব্যক্তির দৃশ্যমান বস্তুর বর্ণনা দেয়ার মতো। প্রাসঙ্গিক লেখা মূলত উনার “সুমহান জীবনী মুবারক” নয়, বরং সুমহান জীবনী মুবারক উনার মাঝে সংঘটিত কোটি কোটি মুবারক কারামত মাঝে গুটি কয়েকের প্রকাশ।
মুবারক বিলাদত শরীফ: 
মাসের মধ্যে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুল আ’যম বা শ্রেষ্ঠ। আর দিনের মধ্যে মহিমান্বিত হলো- ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)। কারণ এ পবিত্র মাসে এবং পবিত্র দিনেই দুনিয়ায় মুবারকে তাশরীফ আনেন আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আর সেই মহান সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যেই, মুবারক কারামত প্রকাশ করে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসেরই ৭ তারিখ পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) পবিত্র বাদ মাগরিব উনার সময় অর্থাৎ সুন্নতী সময় যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল খাইর, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম আমাদের মামদূহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক শৈশব ও কৈশোর কাল: 
উনার মুবারক শৈশব ও কৈশোরকালে উনার বেমেছাল বুযুর্গী, কারামত ও সম্মানের প্রকাশ ঘটে। শিশুসুলভ চঞ্চল আচরণ, অযৌক্তিক হাস্যরস, অপ্রয়োজনীয় কাজ, অনাবশ্যক চিন্তা-খেয়াল থেকে পরিপূর্ণরূপে মুক্ত থেকে এত শিশু বয়স মুবারক থেকেই তিনি সকলের নিকট হয়ে উঠেন এক বিস্ময়কর ধৈর্য ও গাম্ভীর্যের মূর্ত প্রতীক। সুন্নত অনুসরণে উনার জীবন মুবারক-এর প্রথম আমলই ছিল চিন্তা বা মুরাকাবা। আর এখানেও উনার ক্ষণে ক্ষণে কারামত মুবারক উনার প্রকাশ ঘটে।
শিশুবেলা থেকেই সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, মাহবুবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ আমাদের মামদূহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি যখন কোলের শিশু তখন একদা তিনি উনার সম্মানিত পিতা অর্থাৎ আমাদের হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক কোলে বসা ছিলেন। এমন সময় একজন বুযুর্গ ব্যক্তি সেখানে আসেন। তিনি আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে দেখে হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে বলেন: “হে মাওলানা ছাহিব আলাইহিস সালাম! আপনার এ কন্যা সন্তানের চেহারা মুবারক নূরে দীপ্তিমান। উনার সুষ্ঠু তত্ত্বাবধান করবেন, খিদমত মুবারক করবেন। আপনার এই কন্যা সন্তান অনেক উঁচু স্তরের ওলীআল্লাহ হবেন। জগৎময় উনার সুখ্যাতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। উনার হিদায়েতের নূর মুবারক সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করবে। উনার অতুলনীয় রূহানী কুওওয়াত ও বিস্ময়কর প্রভাবে সারা দুনিয়ায় নারীদের মাঝে জাগরণ ঘটবে।” সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত মুবারক ঘটনার পরের আরেকটি ঘটনা, আমাদের হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বাড়িতে উপস্থিত হলেন অন্য একজন বুযুর্গ ব্যক্তি। সেদিনও ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, উম্মুল খাইর, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার মুবারক কোলেই বসা ছিলেন। সালাম বিনিময়ের পর আগন্তুক বুযুর্গ ব্যক্তি একই কথা বললেন: “হে মাওলানা ছাহিব আলাইহিস সালাম! আপনার এ শিশু কন্যা সন্তান খালিছ ওলীআল্লাহ হবেন। তিনি হবেন একজন বেমেছাল মর্যাদাসম্পন্না ওলীআল্লাহ। তিনি হবেন যামানার যিনি লক্ষ্যস্থল উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা। অন্য কারো সঙ্গেই উনার নিকাহ মুবারক সংঘটিত হবে না। উনার পবিত্র রেহেম শরীফ হতে এমন একজন নেক আওলাদ পাক যমীন মাঝে তাশরীফ আনবেন যিনি হবেন বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবাসম্পন্ন ওলীআল্লাহ। এছাড়া উনার মুবারক রেহেম শরীফ হতে আগত আওলাদ পাক সকলেই হবেন যামানার লক্ষ্যস্থল খালিছ ওলীআল্লাহ।” সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর বুযুর্গ ব্যক্তি আরো বললেন: “এমন মুবারক কন্যা সন্তান উনার সম্মানিত পিতা হয়ে আপনি তুলনাহীন সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাগণ, আপনারা কি জানেন, উল্লেখিত দুটি ঘটনায় আগন্তুক দু’ব্যক্তি কে? মূলত বুযুর্গ ব্যক্তির ছূরতে আগন্তুক দু’ব্যক্তি ছিলেন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা। (সুবহানাল্লাহ) উনাদের ভবিষ্যদ্বাণী করা বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবাসম্পন্ন ওলীআল্লাহ যিনি, তিনিই হচ্ছেন মহান খলীফাতুল উমাম সাইয়্যিদুনা আমাদের হযরত শাহযাদা হুযূর কিবলা ক্বাবা আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ:
ওলীয়ে মাদারজাত, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে উনার বুযুর্গ পিতা আলাইহিস সালাম তিনি বার আউলিয়া উনাদের পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামের একটি বালিকা মাদরাসায় প্রাতিষ্ঠানিক ইলম অর্জনের ব্যবস্থা করেন। যদিও তিনি ভরপুর ইলমে লাদুন্নীসহ জগৎ মাঝে এসেছেন, তবুও প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তিনি খাছ শরয়ী পর্দার সাথে অধ্যয়ন শুরু করেন। সে মাদরাসার মুয়াল্লিমা উনারা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেন যে, তীক্ষè মেধা, নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ, সূক্ষ্ম সমঝ এবং ইলম অর্জনে তিনি সত্যিই বেমেছাল। উনার সুন্নতী আচার-আচরণ মুবারক, অনন্য আদব-শরাফত, সীমাহীন ইলম উনার কারণে মাদরাসার ছাত্রীরা তো অবশ্যই মুয়াল্লিমারাও উনার থেকে অনেক কিছু শিখতে থাকেন। 
মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আখাচ্ছুল খাছভাবে সৃষ্টিলগ্ন থেকেই উনার মাঝে ছহীহ হিদায়েত, প্রগাঢ় ইলম, সূক্ষ্ম সমঝ, অনুপম চরিত্র মাধুর্য, অসীম মুহব্বত-মা’রিফাতসহ সকল গুণ-বৈশিষ্ট্যে হাদিয়া করেছেন।
হিদায়েতী কার্যক্রম: 
আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অনবরত তাজদীদ ও হিদায়েতের নূর দ্বারা সারা দুনিয়া থেকে কুফরী-শিরকী, বিদয়াত-বেশরাকে সমূলে ধ্বংস করে হিদায়েত ও হক্ব জারি করছেন। উনার পবিত্র ছোহবতে অসহায় মেয়েরা সহায় পেয়ে ধন্য হচ্ছে, বেদিশা মহিলারা সঠিক পথের দিশা পাচ্ছেন, ইজ্জতহীনারা ইজ্জত পাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
একদা চট্টগ্রামের আমাদের একজন পীরভাই তিনি বাইয়াত হওয়ার পরে অর্থাৎ মুরীদ হওয়ার পরে উনার বাসায় যেয়ে টিভি সরানোর উদ্যোগ নেন। তিনি যখন ঘর থেকে টিভি সরাতে চেষ্টা করেন তখন সেই পীরভাইয়ের আহলিয়া পীরভাইকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, টিভি ঘর থেকে সরানো যাবে না। যদি টিভি সরানো হয়, তাহলে যেন টিভি সরানোর পূর্বে উনাকে সরানো হয়, তালাক দেয়া হয়। নাউযুবিল্লাহ!
অবস্থা দেখে সেই পীরভাই স্তব্ধ হয়ে যান। কিছুদিন পরে চট্টগ্রামে বিশেষ সফর উপলক্ষে আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম মামদূহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি চট্টগ্রামে তাশরীফ আনেন। সেখানে তা’লীমী মজলিসে সেই পীরভাইয়ের আহলিয়া কিছুক্ষণ তা’লীম গ্রহণ করেন এবং বাইয়াত গ্রহণ করেন। তা’লীম গ্রহণ করে তিনি বাসায় ফিরে গিয়ে উনার স¦ামী অর্থাৎ আমাদের পীরভাইকে বলেন, এখনি টিভি সরাতে হবে, না সরালে আমি এ ঘরে থাকবো না। সাথে সাথেই টিভি সরানো হয়। সুবহানাল্লাহ!
আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল শান-মান লেখা দ্বারা প্রকাশ করা অসম্ভব, তিনিই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তিত্বা যিনি প্রতি সপ্তাহে উম্মাহকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিশুদ্ধ তাফসীর হাদিয়া করেন। নিয়মিত পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা দেন। যা অবশ্যই উনার খাছ কারামত মুবারক।
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম ও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে এই উম্মাহর মাঝে উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনিই দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তিত্বা যিনি দায়েমীভাবে উম্মাহ উনাদেরকে পবিত্র ইলমে তাছাউফ ও পবিত্র ইলমে ফিকাহ শিক্ষা দিচ্ছেন। যা নিঃসন্দেহে উনার খাছ কারামত মুবারক।
একটা সময় এমন ছিল যখন দুনিয়ার মাঝে শুধুমাত্র সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনিই সুন্নতী পোশাক মুবারক পরিধান করতেন এবং মেয়েদের সুন্নতী আমলসমূহ পালন করতেন। আর কেউ সুন্নতী লিবাস ও আমল সম্পর্কে জানতোও না। তিনি দয়া-দান ইহসান করেই এই উম্মাহ উনাদের মেয়েদেরকে নিজ হাত মুবারক-এ কাপড় কেটে দেখিয়ে সুন্নতী লিবাস বানাতে ও পরতে শিখিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন-দিচ্ছেন সকল সুন্নত মুবারক উনাদের জ্ঞান। যা অবশ্যই উনার খাছ কারামত মুবারক।
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ছাহিবায়ে ইলমে গাইব: 
আমাদের জনৈকা এক পীরবোন সন্তানসম্ভাবা ছিলেন। উনার পেটে যখন দুই মাসের বাচ্চা তখন তিনি একটি মুবারক স¦প্ন দেখেন। তিনি দেখেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি আমাদের পীরবোনের দিকে অত্যন্ত দয়া ও মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আদরণীয় স¦রে বললেন, “আমাদের তো একটি ছেলে দরকার (খিদমতের জন্য)।” অর্থাৎ তিনি পেটের সন্তান ‘ছেলে’ হওয়ার ইঙ্গিত প্রদান করলেন। 
উল্লেখ্য, পেটে অবস্থানরত দুই মাসের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে তা কোনো আলামত বা প্রযুক্তির মাধ্যমে জানাও কিন্তু সম্ভব নয়। আমাদের পীরবোন মুবারক স¦প্নে মুবারক ইঙ্গিত পেয়ে নিশ্চিত ছিলেন উনার ছেলে সন্তানই হবে। কারণ এ কথা আজ কারো অজানা নেই, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন “ছাহিবায়ে ইলমে গাইব”।
দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অতিক্রম হয়ে উক্ত পীরবোনের পেটের সন্তান পৃথিবীতে আসার সময় হয়ে গেল। যদিও আলামতসমূহ দেখে অনেক মহিলা মন্তব্য করেছিলেন ‘মেয়ে হবে।’ কিন্তু সকলের কথাকে ভুল প্রমাণিত করে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সেই ইলহামী আসমানী কথাই সত্য হলো। সত্যিই! যথাসময়ে আমাদের পীরবোনটির একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান হলো। সুবহানাল্লাহ!
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ছহিবায়ে ইলমে লাদুন্নী: 
আমাদের জনৈকা এক পীরবোনের একটি মেয়ে সন্তান হলো। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অতিশয় দয়া করে সেই পীরবোনের সদ্যজাত মেয়েটির নাম রেখে দিলেন। মেয়েটি ধীরে ধীরে একটু বড় হলো। মেয়েটি যখন হামাগুড়ি দেয়া শিখেছে এমন সময় সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সেই পীরবোনকে দেখে বললেন, “তোমার এর পর একটি মেয়ে হবে, তার নাম -------- রাখবো।” 
সত্যিই! কিছুদিন পর সেই পীরবোনের একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিলো এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার দেয়া নামই তার রাখা হলো। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ছাহিবাতুশ শিফা: 
আমাদের এক পীরবোনের অত্যধিক পেট ব্যথা ছিল। কষ্টের সহ্যসীমা অতিক্রম করলে তিনি ডাক্তারের নিকট যান। ডাক্তার বলেন, দ্রুত অপারেশন করতে হবে অন্যথায় তিনি মারা যাবেন। ডাক্তারের এ পরামর্শ শুনে তিনি আরো তিনজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন। প্রত্যেকেই অপারেশন করতে বলেন। অবশেষে কোনো উপায়ান্তর না দেখে আমাদের সেই পীরবোন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার দরবার শরীফ-এ দোয়া করেন, “ইয়া আম্মাজী ক্বিবলা আমাকে সুস্থ করে দিন, যেন কোন পুরুষ আমাকে না দেখে।”
এই দোয়া করার পর মুহূর্তেই ছূফী পীরবোন ঘুমিয়ে পড়েন এবং একটি মুবারক স¦প্ন দেখেন। তিনি দেখেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি একটি মাহফিলে সেই পীরবোনের নাম উল্লেখ করে দোয়া করছেন যেন আল্লাহ পাক তিনি তাকে সুস্থ করে দেন।
স¦প্নটি দেখার পর ছূফী পীরবোনের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি পুরোপুরি সুস্থতা অনুভব করেন। অতঃপর তিনি ডাক্তারের নিকট যেয়ে সুস্থতার বিষয়টি জানালে ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, “আশ্চর্য বিষয়, আপনি তো পরিপূর্ণ সুস্থ।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সরাসরি হাযির-নাযির হয়ে অর্থ দান করলেন: আমাদের একজন পীরবোন যিনি একসময় খুবই অর্থকষ্টে ছিলেন। পর্দা পালন করার জন্য নিজ বাড়ি ছেড়ে তিনি মেয়েদের মেসে থাকা শুরু করেছিলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি যখন মেসের নির্ধারিত ফি দিতে পারছিলেন না, তখন মেসের দুনিয়াদার কিছু মেয়ে ওই পীরবোনকে দিয়ে তাদের কিছু ব্যক্তিগত কাজ করানো শুরু করলো। তারা উনাকে খুব কষ্ট দিচ্ছিল। কষ্টের সীমা যখন অতিক্রম করে যায়, তখন পীরবোন একদিন বসে বসে কাঁদছিলেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন সামনে সুন্নতী বোরকা পরে একজন ব্যক্তি আসলেন। পীরবোন দাঁড়িয়ে উনার দিকে তাকিয়ে সালাম দিলেন। উনি সালাম গ্রহণ করে ডান হাত বাড়িয়ে পীরবোনকে কিছু টাকা দিলেন এবং বললেন, তোমাকে এই মেয়েগুলো খুব কষ্ট দিচ্ছে, তাই না। ওই মেয়েগুলোকে ডাক। তখন পীরবোন সেই মেয়েগুলোকে ডেকে আনলেন। আগত ব্যক্তিত্ব খুব জালালীভাবে সেই মেয়েগুলোকে বলে দিলেন যে, আর যেন কখনও সেই পীরবোনকে কষ্ট দেয়া না হয়। তারপর তিনি চলে গেলেন। তিনি যখন মেয়েগুলোকে বলছিলেন তখন মেয়েগুলো থরথর করে কাঁপছিল। আমাদের সেই পীরবোন স্পষ্ট বুঝতে পারেন আগত ব্যক্তিত্ব তিনি আমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। যদিও পীরবোন উনার ছুরত মুবারক দেখতে পারেননি। কিন্তু উনার কন্ঠ মুবারক, বাচনভঙ্গি মুবারক, অবয়ব মুবারক ইত্যাদি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, যিনি এসেছিলেন তিনি অবশ্য অবশ্যই আমাদের প্রাণপ্রিয়া হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার হিদায়েত দান: 
আমাদের অপর একজন পীরভাই তিনি স¦প্নে দেখেন, গুনাহ-খাতা, বেপর্দা আর অপরাধ করতে করতে সারা দুনিয়ার সকল মহিলা পশুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সবাই অস্থির কিভাবে তারা মানুষ হবে। একটা বিশাল ময়দানে সবাই সমবেত হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনলেন। তিনি অত্যন্ত দয়া করে ইহসান করে সকলকে পাগড়ী দিয়ে বাইয়াত করালেন। সকলেই বাইয়াত হলো। বাইয়াত হওয়া মাত্রই পশুরূপী দুনিয়ার সব মহিলা মানুষের ছুরত ধারণ করলো, হিদায়েত লাভ করলো। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদী মুবারক জবানে ছানা-ছিফত মুবারক: 
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হাবীবুল্লাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আযীমুশ শান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার মাঝে পবিত্র নছীহত মুবারক পেশকালে বলেন, “তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম এবং হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাদের সরাসরি দায়িমী নিসবতপ্রাপ্ত।” সুবহানাল্লাহ!
আমাদের একজন পীরবোন তিনি স¦প্নে একদা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক দীদার লাভ করেন। তিনি স¦প্নেই হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিদমতে আরজি পেশ করেন, হে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আমাকে কিছু নিয়ামত দান করুন। তখন হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “আমার সব নিয়ামত তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া করেছি, তোমাদের নিয়ামত পেতে হলে উনার নিকট থেকেই নিতে হবে।” সুবহানাল্লাহ!
কুবরায়ী মুবারক জবানে ছানা-ছিফত মুবারক: 
একটি ঘটনা বললে বিষয়টি সহজে বুঝা যাবে। হবিগঞ্জে বিশেষ সফর হয়েছিল, বিশেষ সফর উপলক্ষে হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার হবিগঞ্জ তাশরীফ-এর কয়েকদিন পূর্বেই আমাদের সেখানকার একজন পীরবোন তিনি স¦প্নে দেখেন, “হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাদের সেই পীরবোনকে বলেন, আগত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি আমার ক্বায়িম-মাক্বাম, উনার যথাযথ খিদমত কর।” (সুবহানাল্লাহ) কত শান-মান বুযুর্গী সম্মান উনার, তা কোনো মাখলুকাত কখনো চিন্তাও করতে পারবে না। 
বেমেছাল মুবারক ঘটনা : 
আমাদের অপর একজন পীরবোন তিনি স¦প্নে দেখেন, একটি মজলিসে হাজার হাজার মেয়ে উপস্থিত হয়েছে। সকলেই সারিবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সেই পীরবোনও সামনে এগিয়ে গেলেন।
দেখলেন কিছু খাদিমা উনারা শরবত তৈরি করে একজন বিশেষ নূরানী ব্যক্তিত্ব উনার হাত মুবারক-এ দিচ্ছেন, উনি আবার অপর একজন নূরানী ব্যক্তিত্ব উনার হাত মুবারক-এ দিচ্ছেন। তিনি সকল মেয়েদের মাঝে বিতরণ করছেন। আমাদের পীরবোন নিকটে যেয়ে লক্ষ্য করলেন দুজন নূরানী ব্যক্তিত্বই আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। কিন্তু উনার মনে হচ্ছে একজন মা ও একজন মেয়ে। তাহলে কে মা, কে মেয়ে? আর হযরত আম্মা হুযূর কিবলা আলাইহাস সালাম দুজন কেন? তিনি কাকে এ প্রশ্ন করবেন। তিনি আদবের সাথে সামনে যেয়ে একজন খাদিমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপা, আমাদের আম্মা হুযূর দুজন কেন? তখন সেই খাদিমা বললেন, আপনি চিনেননি। একজন আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম, আরেকজন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
ভুবন বিখ্যাত বালিকা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা :
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বালিকাদের জন্য এমন এক সুমহান মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, যে মাদরাসার তা’লীম তরবিয়ত, শিক্ষা-দীক্ষা, সিলেবাস এবং পাঠোন্নতি দুনিয়ার যেকোনো মাদরাসা এমনকি তথাকথিত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও হার মানিয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এই মাদরাসার অসংখ্য খুছুছিয়ত রয়েছে। যেমন, প্রত্যেক ছাত্রী ও মুয়াল্লিমাকে হাক্বীক্বী শরয়ী পর্দা করতে হয়, নিয়মিত যিকির করতে হয়, তাহাজ্জুদ নামায নিয়মিত পড়তে হয়, বেশি বেশি সুন্নতের আমল করতে হয়, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের পবিত্র ইলম অর্জন করার পাশাপাশি জরুরত আন্দাজ দুনিয়াবী ইলম, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও বিভিন্ন ভাষা শিখতে হয়, নিয়মিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হয়। এছাড়াও এই মুবারক মাদরাসার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য যে, প্রতিটি শ্রেণীতে একাধিক মুয়াল্লিমা উনারা তা’লীম পরিচালনা করেন। মুয়াল্লিমাগণ উনাদের কোলের শিশুকে নিয়েই তা’লীম পরিচালনা করতে পারেন। যা বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠানেই পারে না। এখানেও হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি শিশুর প্রতি মহা ইহসান প্রদর্শন করেছেন। 
অনন্য অন্যান্য মুবারক কার্যক্রম: আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিশেষ তাওয়াজ্জুহ-ফায়িযের বরকতেই ও দিকনির্দেশনা মুবারক-এই প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভয়েস রুম ‘নূরুন আলা নূর।’ রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত হয়েছে, হাজার হাজার ক্বাছীদা শরীফ। মূলত ক্বাছীদা শরীফ বেশি বেশি লিখতে হবে, পাঠ করতে হবে, প্রচার-প্রসার করতে হবে- এটাও আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খাছ দয়া-দান ইহসান তথা খাছ কারামত।
রাজারবাগ শরীফ-এ প্রতিষ্ঠিত মহান আল্লাহ পাক উনার দোকান অর্থাৎ মুবারক ক্যান্টিন মূলত আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনারই অবদান। রাজারবাগ শরীফ থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে অসংখ্য প্রকাশনা; যা আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অবদান। 
আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সারা দেশব্যাপী ছাত্রী ও মহিলাদের মাঝে আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত প্রতিষ্ঠা করে তা’লীম পরিচালনা করছেন। যার কারণে দেশের আনাচে কানাচেসহ বিশ্বের বহু স্থানে প্রতিদিন হাজার হাজার মাহফিল ও মীলাদ শরীফ পাঠ হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
এক কথায় আযীমুশ শান দরবার শরীফ, আযীমুশ পবিত্র খানকা শরীফ, আযীমুশ পবিত্র দফতর শরীফ উনাদের সকল মুবারক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যার মূল ভূমিকায়, মূল দিকনির্দেশনায় রয়েছেন হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
ঐতিহাসিক মুবারক ঘটনা : 
একদা একটি বিশেষ স্থানে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ মুবারক মুবারক উনার মাঝে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অতিশয় আদরণীয় চিত্তে আপন আওলাদ, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার হাত মুবারক-এ চুম্বন দেন। অতঃপর আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনিও অতিশয় মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক-এ চুম্বন দেন। সুবহানাল্লাহ!
অবশেষে গোলাম অধম-অধমাদের আরজু আরাধনা ও ফরিয়াদ- হে হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম আমাদের প্রাণপ্রিয়া হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম, আপনি দয়া দান ইহসান করে, সম্মানিত শায়েখ মালিক হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার, হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম জান্নাতী মেহমান আলাইহিমাস সালাম উনাদের এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে আমাদেরকে মাফ করে দিন, সন্তুষ্টি ও নেকদৃষ্টি নসীব করুন এবং আজীবন খিদমত করার, গোলামী করার, মুহব্বত করার, মুহব্বত পাওয়ার তাওফীক দান করুন। (আল্লাহুম্মা আমিন)
-শারমিন আহমদ শবনম।

http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=10249

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন