শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৫

বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ ...

"আলহামদু ওয়াশ শুকরু লি শায়িখিল আ'লামীন ওয়াছ ছলাতু ওয়াস সালামু আ'লা আহলি বাইতিহিল কারিম আলাইহিমুস সালাম আজমাঈন"

বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক, সম্মানিত সিলসিলা মুবারক, বরকতময় আগমনের প্রেক্ষাপট, কারণ ও সুমহান তাজদীদ মুবারক উনার ব্যাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরণ


★ সম্মানিত বরকতময় নাম মুবারক:

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফায়ে আ'শির, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ব ত্বরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, ছহিবু ক্বাসিম, ছহিবু জামিউল উলূমী ওয়াল হিকাম, ছহিবু জামিউল মাক্বামাত ওয়াল আলক্বাব, ক্বাইয়্যুমে আ’যম, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বাবিইয়্যুল আউওয়াল, মুজাদ্দিদে আ'যম, নূরে মুকাররম, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল ক্বুরাঈশী ওয়াল হানাফী ওয়াল ক্বাদিরী ওয়াল চিশতী ওয়ান নাকশবন্দী ওয়াল মুজাদ্দিদী ওয়াল মুহম্মদী, সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, সম্মানিত রাজারবাগ দরবার শরীফ। 


★ ঠিকানা:

৫ নং আউটার সার্কুলার রোড (মালিবাগ মোড় থেকে ১০০ গজ সামনে, রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ৩ নং গেটের বিপরীত পাশে, সুমহান সুন্নতি জামে মসজিদ), রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।


★ বরকতময় সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের পবিত্রতম স্থান:

ঢাকা, বাংলাদেশ।


★ সুমহান বংশ মুবারক উনার পরিচিতি মুবারক:

মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বংশ পরম্পরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দিক থেকে তিনি যথাক্রমে সাইয়্যিদুশ শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুশ শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সাথে যুক্ত। সুবহানাল্লাহ! এ কারণে তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। পবিত্র রক্ত মুবারক উনার ধারাবাহিকতায় সঙ্গতকারণেই তিনি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী। অর্থাৎ তিনি মহাসম্মানিত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

পথভ্রষ্ট ও গোমরাহীতে নিমজ্জিত মানুষকে হিদায়েত দানের মহান লক্ষ্যে সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি সাঞ্জিরী ছূম্মা আজমীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিভিন্ন দেশ হিজরত মুবারক ও সফর মুবারক শেষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সদয় নির্দেশ মুবারক-এ ছয়শত হিজরীর মাঝামাঝি সময়ে সম্মানিত আজমীর শরীফে তাশরীফ মুবারক আনেন। উনারই অন্তরঙ্গ সঙ্গী এবং ঐ যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী আলাইহিস সালাম তিনিও আজমীর শরীফ তাশরীফ আনেন। হিদায়েত দানের সুমহান কাজে নিমগ্ন হয়ে তিনি আজমীর শরীফ থেকে যান এবং সেখানেই বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার অধস্তন দুইজন সুমহান পূত্র, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন আলাইহিস সালাম এবং আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহুদ্দীন আলাইহিস সালাম উনারা তৎকালীন চট্টগ্রামে তাশরীফ মুবারক নেন। সুুবহানাল্লাহ! উনাদের কারামত মুবারক ছিলেন উনারা পানির মধ্যে পাথরের উপর ভর করে সফর করতেন। উনারা যে পাথরে দাঁড়াতেন, তা ডুবতো না, মাইলের পর মাইল উনাদেরকে বহন কর নিয়ে যেতো। উনারা পাথরের উপর ভর করে চট্টগ্রাম থেকে তৎকালীন বাংলাদেশের রাজধানী ও সুফি-সাধক উনাদের মিলন কেন্দ্র সোনারগাঁতে চলে এসেছিলেন। তখন ছিলো জমিদার প্রথা। সোনারগাঁ সংলগ্ন নদীটা সোনারগাঁ কে ভেঙ্গে নিচ্ছিলো, তখন জমিদার সাহেব তিনি হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন আলাইহিস সালাম এবং হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহুদ্দীন আলাইহিস সালাম উনাদেরকে বলেছিলেন, "আপনারা তো মহাসম্মানিত আওলাদে রসূল এবং খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, আপনারা আমাদেরকে এই মুছিবতের হাত থেকে হিফাযত করুন।" তখন উনারা নদীর তীরে একটি খুটি পুতে দিয়েছিলেন এবং নদীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, "হে নদী! তুমি এ খুটির এপাশে আসতে পারবেনা।" তখন থেকে নদীর ভাঙ্গন রোধ হয়ে গিয়েছিলো। তখন জমিদার সাহেব খুশি হয়ে উনাদেরকে বেশকিছু লাখাজনা জমি হাদিয়া মুবারক করেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহুদ্দীন আলাইহিস সালাম তিনি হিদায়েত উনার কাজে নিমগ্ন হয়ে সোনারগাঁও-এ থেকে যান। সেখানেই উনার মাযার শরীফ রয়েছে। তবে উনারা যে পাথর সমূহতে ভেসে এসেছিলেন, সেগুলো চুরি হয়ে গিয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন আলাইহিস সালাম তিনি সোনারগাঁও-এ অল্প কিছুদিন অবস্থানের পর একই জেলার আড়াইহাজার থানাধীন যে জনপদে হিদায়েত ও নছীহতের কেন্দ্রভূমি গড়ে তোলেন, তারই বর্তমান নাম ‘প্রভাকরদী শরীফ’। সুবহানাল্লাহ

আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দীন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান পুত্র, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মালাউদ্দীন আলাইহিস সালাম।
উনার সুমহান পুত্র, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ইলাহী বখশ আলাইহিস সালাম।
উনার সুমহান পুত্র, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ওয়ালী বখশ আলাইহিস সালাম।
উনার সুমহান পূত্র, ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলাহ সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
উনারাই সুযোগ্য বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা সম্পন্য সুমহান পূত্র, সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।


★মহাসম্মানিত ওয়ালীদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম অর্থাৎ সম্মানিত বুযুর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম:

মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উভয়েই মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ লক্ষ্যস্থল "ওলীআল্লাহ" ও "আওলাদে রসূল"। সুুবহানাল্লাহ!

* মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: 
ওলীয়ে মাদারজাদ, আফদ্বালুল ইবাদ, ফখরুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, মুসতাজাবুদ দা'ওয়াত, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ছাহিবে ইসমে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল আখাচ্ছুল খাছ "ওলীআল্লাহ" ও "আওলাদে রসূল"। তিনি নায়িবে মুজাদ্দিদ, কুতুবুল আলম, ক্বাইয়্যূমুয যামান আলহাজ্জ হযরতুল আল্লামা আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট খলীফা।

* মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম: ওলীয়ে মাদারজাদ, সাইয়্যিদাতু নিসাইয়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, বাহরুল উলূম, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, উম্মুল খইর, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, হামিদাতুন নিসা, মাজিদাতুন নিসা, নাজিয়াতুন নিসা, ত্বহিরাহ ওয়াত ত্বইয়্যিবাহ, মাখযানুল মারিফাহ, রাহনুমায়ে দ্বীন, ছিদ্দীক্বায়ে কুবরা, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, মাহবূবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জাদ্দাতু খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, উম্মু মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী। সুবহানাল্লাহ! তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ লক্ষস্থল "মাহবুবা ওলীআল্লাহ" ও "আওলাদে রসূল"। সুুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত পিতা আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুস সবুর আলাইহিস সালাম। উনার সম্মানিত পিতা আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহুদ্দীন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পিতা আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবু বকর মুজাদ্দিদী আলাইহিস সালাম। 

★ সীমাহীন পরিপূর্ণ ইলিম মুবারক, পরিপূর্ণরূপে আমল মুবারক ও সর্বোচ্চ পরিপূর্ণ কামিয়াবী মুবারক: 
সূক্ষ্ম মননশীলতা, অনাবিল অনুসাধিৎসা, মুরাকাবার নিবিষ্টতা, পরিচ্ছন্ন ধ্যান-ধারণা, ইলিম মুবারক অর্জনের আকুলতা, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মা’রিফাত মুবারক ও মুহব্বত মুবারক উনাদের অতলান্ত গভীরতা এবং "মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম" সুলভ মানসিকতা তিনি বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সূত্রেই লাভ করেছেন। তিনি সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় পরিপূর্ণরূপে বিশ্বাসী। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী পুঞ্জীভূত তমসা দূর করে হিদায়েতের নূরে দুনিয়া আলোকিত করার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার মাঝে সকল সম্মানিত বরকতময় গুণ-বৈশিষ্ট্য মুবারক উনাদের সমাবেশ ঘটিয়েছেন। সম্মনিত বরকতময় বিশ বছর বয়স মুবারক উনার মধ্যেই তিনি সম্মানিত কুরআন শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ, সম্মানিত তাফসীর শরীফ, ফিক্বাহ, উছূল, মানতিক, বালাগাত, ফাছাহাত, নাহু, ছরফ, সাহিত্য, কাব্য,ইতিহাস, ভূগোল, দর্শন, বিজ্ঞানসহ সম্মানিত দ্বীন ইসলামী ইলিম মুবারক উনার সকল শাখায় অতুলনীয় সীমাহীন ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যিন্দেগী মুবারক উনার আয়োজন, ইলিম মুবারক, আমল মুবারক ও কামিয়াবী উনাদের পরিধি সীমাহীন ব্যাপকতর। ইলিম মুবারক, আমল মুবারক, সহীহ সমঝ মুবারক ও মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক নিজস্ব সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও মহান আল্লাহ পাক উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় তিনি আত্মকেন্দ্রীক হতে পারেন না। কেননা সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার দায়িত্ব অপার, অসীম, অতুলনীয়। সম্মানিত ইলমে তাছাউফ অর্জনের শরঈ' কারণে তিনি কুতুবুল আলম, আমীরুশ শরীয়ত, রাহনুমায়ে তরীক্বত, সুলতানুল আরিফীন, শাইখুল আসাতিযা, নাজমুল আউলিয়া, জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, লিসানুল উম্মাহ, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, ফখরুল ফুক্বাহা, আল্লামাতুল আইয়াম, মুফতিউল আ’যম, আশিকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলহাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ সুফী সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি যাত্রবাড়ীর মুহম্মদিয়া খানকা শরীফ উনার সম্মানিত পীর ছাহেব আলাইহিস সালাম উনার নিকট সম্মানিত বাইয়াত মুবারক গ্রহণ করে "প্রধান খলীফা আলাইহিস সালাম" উনার মর্যাদা-মর্তবা মুবারক লাভ করেন এবং পরিপূর্ণ কামিয়াবী হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ! 
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত কুরআন শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ অনুসারী। তিনি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করেন। তিনি মুস্তাহাব আমলও কখনো তরক করেন না। সুবহানাল্লাহ! উনার ইবাদতে মগ্নতা ও ফিকিরের গভীরতা যেনো গারে হেরায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়্যীন, রউফুর রহীম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার অনুভব-উপলদ্ধি মুবারক, মুহব্বত-মা'রিফত মুবারক, তায়াল্লুক-নিছবত মুবারক, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশের মতো এক উদ্বেলিত ও নিরন্তর মনোনিবেশ।


★ সম্মানিত সিলসিলা মুবারক :

* সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, যামানার মহান ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, সুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, কুতুবুল আলম, গাউছুল আযম, ইমামুশ শরীয়াহ ওয়াত ত্বরীক্বাহ, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আওলাদুর রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা ইমাম পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদে আ'যম ক্বিবলা-কা'বা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়ার ক্বুরাঈশী ওয়াল হানাফী উনার সম্মানিত পীর ছাহেব ক্বিবলা হচ্ছেন,

* সাইয়্যিদুল আউলিয়ায়ি ওয়াল মাশায়িখ, কুতুবুল আলম, আমীরুশ শরীয়ত ওয়া রাহনুমায়ে তরীক্বত, সুলতানুল আরিফীন, শাইখুল আসাতিযা, নাজমুল আউলিয়া, জামিউল উলুম, ওয়াল হিকাম, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, লিসানুল উম্মত, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, ফখরুল ফুক্বাহা, আল্লামাতুল আইয়াম, মুফতিউল আ’যম, আশিকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আলহাজ্জ্ব হযরত মাওলানা শাহ ছূফী সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (পীর ছাহেব ক্বিবলা, যাত্রাবারী ঢাকা) তিনি এবং উনার সম্মানিত পীর ছাহেব ক্বিবলাদ্বয় উনারা হচ্ছেন,

* ১) নায়িবে মুজাদ্দিদ, কুতুবুল আকতাব, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, লিসানুল হক্ব, আমীরুশ শরীয়াহ ওয়াত ত্বরীক্বাহ, সুলতানুল আরেফীন, ওলীয়ে মাদারজাত হযরত মাওলানা আবু নজম মুহম্মদ নাজমুস সাদায়াত ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং

*২) নায়িবে মুজাদ্দিদ, ক্বাইয়্যূমুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ লিসানূল হক্ব, আমীরুশ শরীয়াহ ওয়াত ত্বরীক্বাহ,সূলত্বানুল আরেফীন আলহাজ্জ হযরতুল আল্লামা আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং উনাদের সম্মানিত পিতা ও পীর ছাহিব ক্বিবলা হচ্ছেন,

* চৌদ্দশত হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, আমীরুশ শরীয়াহ ওয়াত ত্বরীক্বাহ, কুবুল আলম, সুলত্বানুল আরেফীন, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, লিসানুল হক্ব, রঈসুল মুহাদ্দীছীন, ফখরুল ফুক্বাহা হযরত মাওলানা শাহ সূফী আব্দুল্লাহিল মা'রূফ মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। সূবহানাল্লাহ!


★ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে তায়াল্লুক-নিছবত মুবারক:

মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার "খাছ নায়িব" এবং উনার "ক্বায়িম মক্বাম"। তিনি সম্মানিত সুন্নত মুবারক যিন্দাকারী এবং বিদয়াত অপসারণকারী। অনুক্ষণ তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক-এ নিমগ্ন। আচার-আচরণ, চলা-ফেরা, উঠা-বসা, কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম, সীরত-ছূরত মুবারক ও আমল মুবারক উনাদের কোন কিছুতেই তিনি সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ কিছু করেন না। দায়িমী নিছবত মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদয় ইহসান মুবারক ও সুমহান নির্দেশ মুবারকেই মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদ মুবারকসহ যাবতীয় কাজ পরিচালিত হয়।


★ "মুজাদ্দিদ" কাকে বলা হয়? :

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সম্মানিত ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিলকৃত একমাত্র মনোনীত, নিয়ামতপ্রাপ্ত ও সন্তুষ্টি মুবারক প্রাপ্ত পরিপূর্ণ এক দ্বীনি ব্যবস্থা। খাতামুন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরবর্তীতে জ্বীন-ইনসানকে হাক্বীক্বীভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রশিক্ষিত ও নিবিষ্ট করার কাজে পৃথিবীতে যুগে যুগে নিয়োজিত থাকেন, হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ, নায়িবে নবী, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়াগণ উনারা। মহান আল্লাহ পাক উনার মত মুবারক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রদর্শিত পথ মুবারক-এ যিনারা আমরণ ইস্তিক্বামত থাকেন এবং জ্বীন-ইনসানকে ইস্তিক্বামত করেন, উনারাই, হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ, নায়িবে নবী, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া। অবুঝ, লক্ষ্যভ্রষ্ট ও বিপথগামী মানুষের আক্বীদা, অনুভব ও অনুসরণকে সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার বিধানে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু করে দেয়ার জন্য এমন মহান ব্যক্তিত্ব দুনিয়ায় সব সময়ই মওজুদ থাকেন। এ মহান ও আয়াসসাধ্য দায়িত্বপালনের জন্য প্রতি হিজরী শতাব্দীতেই মহান সংষ্কারকের আবির্ভাব ঘটে। এমন সংস্কারক উনাকেই "মুজাদ্দিদ" বলা হয়।

মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فِيْمَا اَعْلَمُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال َاِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَبْعَثُ لِـهٰذِهِ الْاُمَّةِ عَلـٰى رَأْسِ كُلّ ماِئَةِ سَنَةٍ مَنْ يـُّجَدّدُ لـَهَا دِيْنَهَا.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সর্বাধিক অবগত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক জাল্লা শানুহূ তিনি প্রতি একশ বছরের মাথায় এ উম্মতের হিদায়েতের জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তাজদীদকারী ওলীআল্লাহ অর্থাৎ মুজাদ্দিদ প্রেরণ করেন।” (সম্মানিত আবূ দাঊদ শরীফ, সম্মানিত মিশকাত শরীফ)

★ "মুজাদ্দিদে আ’যম" কাকে বলা হয়? : 

সম্মানিত কুরআন শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের বিরোধী ভ্রান্ত আক্বীদা, আমল ও আখলাক নির্মূলে লক্ষ্যচ্যূত মানুষের ঈমান ও আক্বীদা নবায়নসহ তাদেরকে সম্মনিত সুন্নত মুবারক পালনে অভ্যস্ত করে তোলার কাজে নিয়োজিত ওলীআল্লাগণ উনাদেরকে মুজাদ্দিদে আ’যম বলা হয়। সম্মানিত সুন্নত মুবারক অবলোপনে দুনিয়ালোভী উলামায়ে "সূ"দের ঘৃণ্য কারসাজি যখন অব্যাহত থাকে, দূর্বলের প্রতি তথাকথিত সবলের উৎপীড়নের মাত্রা যখন সীমা লঙ্ঘন করে, ইনসাফের বাণী যখন নিভৃতে কাঁদে, জালিমের অত্যাচারে মজলুম যখন অতিষ্ঠ হয়, দুনিয়াদার আলিম উলামায়ে "সূ"দের নেপথ্য যোগানদারিতে ইহুদী-নাছারাসহ তাবৎ বিধর্মীরা যখন মুসলমান উনাদের ঈমান ও আক্বীদা বিনষ্টসহ সমূহ ক্ষতিসাধনে লিপ্ত থাকে এবং তাদের প্রিয় আবাসভূমি পর্যন্ত গ্রাস করতে উদ্যত হয়, নিকৃষ্ট বুদ্ধিজীবি, ও উলামায়ে "সূ’রা যখন আপন স্বার্থ হাছিলে বিধর্মীদের কূটকৌশলে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়, তখনই এসব থেকে পরিত্রানের জন্য একজন "সুমহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম" উনার তাজদীদ মুবারক অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে। "মুজাদ্দিদগণ" উনাদের কর্মপরিধি থেকে "মুজাদ্দিদে আ’যম" উনার কর্মপরিধি ব্যাপকতর। সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার প্রভাব বিশ্বব্যাপী।


★ পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বরকতময় আগমন এবং সম্মানিত তাজদীদ মুবারক উনার প্রকৃতি ও পরিধি: 

শতাব্দীর পর শতাব্দী অতিক্রমণে তাওহীদ মুবারক ও রিসালত মুবারক পরিপন্থী ঈমান, আক্বীদা ও আমলে জ্বীন-ইনসান যখন গোমরহীতে নিমজ্জিত হয়। কালের প্রবাহে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত উপলব্ধি, নৈতিক অবক্ষয় ও বিরূপ জীবনাচরণের মধ্যে বিদয়াতের জন্ম হয় এবং সম্মানিত সুন্নাহ শরীফ ও সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী কাজের প্রসার ঘটে। ক্রমান্বয়ে মানুষ শিরক ও কুফরীর তমসায় আচ্ছন্ন হয়। বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এমন অবস্থাই বিরাজমান। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মত-পথ মুবারক উনার বিপরীত ও সাংঘর্ষিক যাবতীয় আক্বীদা, আমল, আখলাক ও রসম-রিওয়াজের মূলোৎপাটন করে হাক্বীক্বী সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আবাদের অনূকুল ক্ষেত্র তৈরীর প্রয়োজনে মহান আল্লাহ পাক উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় এবং রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদয় ইহসান মুবারক-এ পঞ্চদশ শতকের "সুমহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম" উনার প্রয়োজন অনিবার্য হয়ে উঠে। নববী নক্বশায় সম্মানিত ইসলামী তাজদীদ মুবারক এবং আধ্যাত্মিক চিন্তা ও ইলিম মুবারক-এ ইলমে তাসাউফ উনার সুষ্ঠু বিন্যাস ও প্রয়োগে নিরন্তর নিয়োজিত থাকায় সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা মুবারক সমধিক। দুনিয়ার প্রতিকূল পরিবেশ-প্রতিবেশে উনার তাজদীদ মুবারক উনার পরিধি অধিকতর ব্যাপক ও ভিন্নতর।



★ পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক:
বর্তমান প্রতিকূল প্রেক্ষাপটে জ্বীন-ইনসানের পরিত্রানের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মনোনীত এবং কুল-কায়িনাতের মুবারকবাদ সিক্ত খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফায়ে আ'শির, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ'যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন্ নাছীর, ক্বাইয়্যুমে আ’যম, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্ববিইয়্যুল আউওয়াল, মুজাদ্দিদে আ’যম, নূরে মুকাররম, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিই হলেন পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান "মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম"। উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ইজ্জত-ঐতিহ্যের অত্যুঙ্গ সোপান কেবল মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই সম্যক অবহিত। উনার অসংখ্য-অগণিত লক্বব মুবারক উনাদের মধ্যে একটি মূল লক্বব মুবারক হলো “মুজাদ্দিদে আ’যম”। সুুবহানাল্লাহ!


★ সুমহান তাজদীদ মুবারক উনার ক্ষেত্রঃ

মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদ মুবারক উনার মূল লক্ষ্য ও ক্ষেত্র কোন জনপদের ভৌগোলিক সীমানা অথবা অবকাঠামো নয়। লক্ষ্য হলো মানুষের অন্তরের নোংরা অনুভব, অনৈতিক আচরণ ও সম্মানিত শরীয়ত গর্হিত কাজ। সম্মানিত ইসলামী পরিভাষায় যার নাম ঈমান, আক্বীদা, ইলিম, আমল ও ইখলাছ। একটি সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে জনগণ, সরকার ও সার্বভৌমত্বের সমন্বিত রূপকে রাষ্ট্র বলা হয়। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এমন রাষ্ট্র সমর্থন করে না। কারণ, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম নির্দিষ্ট কোন সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সার্বজনীন এবং উনার আবেদন বিশ্বব্যাপী। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কাজ হলো, জগৎময় মানুষের অন্তরকে শাণিত করে তোলা এবং তাদের মন ও মননে সম্মানিত কুরআন শরীফ ও সম্মানিত সুন্নাহ শরীফ উনাদের সমন্বয়ে সৃষ্ট ইলমে তাছাউফ উনার নির্যাস প্রবেশ করিয়ে দেয়া। অর্থাৎ মানুষকে পরিপূর্ণরূপে আল্লাহওয়ালা করে তোলা এবং পৃথিবীব্যাপী “সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক” প্রতিষ্ঠিত করা। এ লক্ষ্যে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমামম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদ মুবারক উনার ক্ষেত্র গোটা বিশ্বের সকল মানুষ। বিপন্ন ও পথহারা মানুষের হিদায়েতের জন্য তিনি বেমেছাল রূহানী কুওওয়ত সম্পন্ন আলোকবর্তিকা। অন্যসব ধর্ম ও জাতি, গোত্র, বর্ণ নির্বিশেষে অপামর মানুষের জন্যও তিনি মনোনীত হাদী। পরিপূর্ণরূপে ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফ উনাদের অনুসরণে মানুষকে আল্লাহওয়ালা করে তোলা এবং জগৎব্যাপী ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠায় পঞ্চদশ শতকে তিনি মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শ্রেষ্ঠতম উপহার। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহকাম মুবারক উনাদের প্রতি জগৎব্যাপী মানুষের অনীহা, ভ্রান্ত আক্বীদা, সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার প্রতি অবজ্ঞা এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করে তিনি বেদনাক্লিষ্ট হয়ে পড়েন। এ বেদনাবোধই উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদ মুবারক উনার ভিত্তিতি রচনা করেন।


★ সুমহান তাজদীদ মুবারক উনার প্রণালী:

বিপর্যস্ত আক্বীদা, কুফরী ও নাস্তিকতার ঘোর দুর্দিনে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ লক্ষ্যস্থল মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হাক্বীক্বী হিদায়েতের জন্য বিশ্ববাসীকে ডাক দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত "মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” ও "দৈনিক আল ইহসান শরীফ” পত্রিকাদ্বয় উনাদের সঠিক দিক নির্দেশনায় বিশ্বময় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বাতিলের মুখোশ উম্মোচন ও বাতিলকে পর্যুদস্ত করে হক্ব মত-পথ প্রতিষ্ঠায় এ দু’টি পত্রিকার অমিয় আহ্বানে মানুষ দুনিয়াদার আলিম উলামায়ে "সূ", সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শত্রু ও বাতিলকে চিনতে ও বুঝতে শিখছে। মানুষের ইছলাহির জন্য এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন কিতাবাদী রচনা করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব বক্তব্য তুলে ধরছেন। একইভাবে সহজ-সরল এবং হৃদয়গ্রাহীভাব ও ভাষায় নিয়মিতভাবে তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বরকতময় ওয়াজ-নছীহত মুবারক। ও তা’লীম তালক্বীন মুবারক উনাদের মাধ্যমে আপামর মানুষের মনে ইসলামী জযবা সৃষ্টি করছেন। দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষ উনার মুরীদ হচ্ছেন। অসংখ্য বিধর্মী সম্মানিত দ্বীন ইসলাম-এ দীক্ষিত হচ্ছেন। উনার যিকির-ফিকির মুবারক উনার তা’লীম মুবারক-এ লক্ষ লক্ষ মুরীদের অন্তর ইছলাহ হচ্ছেন। ইলমে তাছাউফে দীক্ষিত হয়ে অগণিত মানুষ সত্যের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। অবলুপ্ত সুন্নত মুবারক জিন্দায় মানুষকে হক্ব মত-পথে ফিরিয়ে আনতে উনার বিশ্বময় অতুলনীয় অবদান ইতোমধ্যেই মানুষ জেনে ফেলেছেন।


★ তাজদীদ মুবারক উনার বিষয়:

মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদ মুবারক উনার মূল বিষয় হলো, সম্মানিত কুরআন শরীফ ও সম্মানিত সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী বদ্ব আক্বীদা, আমল, অন্যায়, অবিচারের মূলোৎপাটন। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী যাবতীয় বিশ্বাস ও কার্যকলাপ নির্মূল উনার তাজদীদ মুবারক উনার ক্ষেত্র। দুনিয়ালোভী উলামায়ে "সূ"দের মনগড়া ফতওয়ার কারণে বর্তমানে অনেক মানুষ সরাসরি সম্মানিত কুরআন শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের বিরোধী আক্বীদা ও আমলে লিপ্ত। 
মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত শরীয়ত উনার মূল দলীল, অর্থাৎ সম্মানিত কুরআন শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনার ভিত্তিতে সঠিক আক্বীদা ও আমল তুলে ধরছেন এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশকৃত সকল কুফরী, শিরক ও বিদয়াত অপসারণের কাজে সর্বক্ষণ নিয়োজিত রয়েছেন। যেসব হারাম ও নাজায়িয বিষয়ের মূলোৎপানে তিনি সদা-সর্বদা নিয়োজিত। 

-:অসংখ্য-অগণিত সুমহান তাজদীদ মুবারক থেকে কতিপয় সুমহান তাজীদদ মুবারক উল্লেখ করা হলো:-

১) মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলিম মুবারক ও কুদরত মুবারক দ্বারা সর্বত্র হাযির ও নাযির। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু'যিযা মুবারক উনাদের দ্বারা এবং নূর মুবারক ও রহমত মুবারক হিসেবে সর্বত্র হাযির ও নাযির। এছাড়া তিনি প্রকৃত জিসিম মুবারক-এ নয় বরং উনার অনুরূপ জিসিম মুবারক ও ছূরত মুবারক ধারণ করে এবং মিছালী ছূরত মুবারক দ্বারা কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির হতে পারেন বা হয়ে থাকেন।

২) মহান আল্লাহ পাক তিনি "আ'লীমুল গাইব"। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি "মুত্তালা" আলাল গাইব' বা "ছহিবে ইলমে গায়িব'। অর্থাৎ উনাকে সৃষ্টির শুরু থেকে অনন্ত-অনাদীকাল পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের ইলিম মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে। 

৩) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি "নূরে মুজাসসাম" অর্থাৎ তিনি নূর মুবারক উনার তৈরী বা আপদমস্তক নূর মুবারক।

৪) আবুল বাশার হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত কেউই মাটির তৈরী নন। উম্মুল বাশার হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম তিনি এবং জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারা কুদরতীভাবে তৈরী। এছাড়া সকলেই মায়ের রেহেম শরীফ-এ কুদরতীভাবে তৈরী হন।

৫) হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই মা'ছূম বা নিষ্পাপ। এর বিপরীত আক্বীদা পোষণ করা কাট্টা কুফরী।

৬) সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতির ও পবিত্র ঈদুল আদ্বহা এ দুই ঈদ ব্যতীত আরো অনেক ঈদ রয়েছে। তন্মধ্যে সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর হচ্ছেন, "মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" যা পালন করা সমস্ত জ্বীন-ইনসান তো অবশ্যই বরং কুলকায়িনাতের জন্য ফরযে আ'ইন এবং নাযাত লাভের কারণ।

৭) পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা এবং উনার মধ্যে পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা সুন্নত মুবারক। যা সরাসরি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত।

৮) সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়া'লা আনহুমগণ উনারা সকলেই "মিয়ারে হক্ব" বা সত্যের মাপকাঠি। উনাদের সমালোচনা করা কুফরী।

৯) রূহানী ইছলাহ বা অত্মশুদ্ধি লাভের জন্য হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বায়াত গ্রহণ করা ফরয।

১০) পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে গান-বাজনা করা, দেখা, শোনা সবই হারাম ও কবীরা গুনাহ।

১১) পবিত্র রওযা শরীফ, পবিত্র কা'বা শরীফ ও পবিত্র বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফ উনাদের ছবি সম্বলিত জায়নামাযে পবিত্র নামায পড়া হারাম, নাযায়িয, কুফরী।

১২) ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, কুস্তি সহ সকল প্রকার খেলাধুলা পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম।

১৩) মহিলাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়াহ, তারাবীহ, ঈদ উনাদের নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া আম ফতওয়া মুতাবিক মাকরূহে তাহরীমী আর খাছ ফতওয়া মুতাবিক কুফরী। 

১৪) পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহে তাহরীমী।

১৫) সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে, ফজরের নামাযে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাযায়িয এবং নামায ভঙ্গের কারণ। আযান ও ইক্বামতের সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শুনে আঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে বুছা দেয়া সুন্নত। 

১৬) পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়াহ, তারাবীহ, ঈদ, জানাযা ও আযানের পর হাত উঠিয়ে একা একা বা সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা জায়িয ও সুন্নত। 

১৭) চার টুকরা বিশিষ্ট সাদা গোল সুতি কাপড়ের টুপি পরিধান করা, পাগড়ী পরিধান করা, সাদা সুতি কাপড়ের রুমাল পরিধান করা, সেলাইবিহীন লুঙ্গী পরিধান করা, গুটলীযুক্ত নিছফু সাক্ব গোল কোর্তা পরিধান করা, খয়েরী রংয়ের ক্রস ফিতাযুক্ত চামড়ার না'লাইন বা স্যান্ডেল ব্যবহার করা, খয়েরী রংয়ের চামড়ার মোজা ব্যবহার করা, বাবরী চুল রাখা, নিয়ত করে পবিত্র রওযা মুবারক ও পবিত্র মাযার শরীফ যিয়ারত করা, ক্বদমবুছী করা, লক্বব বা উপাধি ব্যবহার করা, পবিত্র শবে বরাত রাত্রিতে রাত জেগে ইবাদত করা এবং দিনে পবিত্র রোযা রাখা ইত্যাদি খাছ সুন্নত। পবিত্রর সুন্নত উনার বিরোধীতা করা কাট্টা কুফরী । 

১৮) প্রতি আরবী মাসের দিন, তারিখ গণনা করা এবং নতুন চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। মাস-তারিখ আগে পিছে করা কাট্টা কুফরী। 

১৯) সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে বেপর্দা হওয়া, ছবি তোলা, টিভি ভিসিআর দেখা ও এতে প্রোগ্রাম করা, মুর্তি-ভাষ্কর্য তৈরী করা ও তা দাহ করা, ভোট দেয়া, গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, নারী নেতৃত্ব মানা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দাবী করা ইত্যাদি হারাম।

২০) প্রাণীর ছবি তোলা, আঁকা, রাখা হারাম। ছবি তোলা জায়িয বলা বা এ ব্যপারে উৎসাহিত করা বা প্রচারণা চালানো কাট্টা কুফরী।

২১) যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে পবিত্র নামায পড়া জায়িয নেই। কোন ইমামের সামনে, পিছনে, ডানে, বামে যদি কোন প্রাণীর ছবি থাকে এবং পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তার পিছনে পবিত্র নামায আদায় করে তথাপিও সকের পবিত্র নামাযই মাকরূহ হবে এবং উক্ত পবিত্র নামায দোহরায়ে পড়া ওয়াজিব হবে।

২২) সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত যেসব বিষয়কে হারাম সাব্যস্থ করেছেন সেসব বিষয়কে হালাল বা জায়িয ফতওয়া দেয়া কুফরী। আর কোন মুুসলমান সেচ্ছায় কুফরী করলে, সে মুরতাদ ও কাফির হয়ে যায়।

২৩) কাঠের বাটি মুবারক, প্লেট মুবারক, লবনদানি মুবারক, পানির পেয়ালা মুবারক ইত্যাদি ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক।

২৪) পবিত্র রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন, ইনহেলার ব্যবহার করলে রোয়া ভঙ্গ হয়ে যাবে।

২৫) খতমে তারাবীহ ও সুরা তারাবীই উভয়টি সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। সূরা তারাবীহ পাঠ করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত।

২৬) পবিত্র হামদ শরীফ, পবিত্র না'ত শরীফ, পবিত্র ক্বাছিদা শরীফ পাঠ করা, লিখা, শ্রবণ করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। 


★ মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা: 

কিতাবে উল্লেখ রয়েছে “প্রত্যেক হযরত মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ প্রকৃত হাদী উনার বিরোধিতার জন্য একজন ফিরাউন অর্থাৎ একজন বিরোধী রয়েছে। তদ্রুপ প্রত্যেক ফিরাউন, অর্থাৎ গোমরাহকে হিদায়েতের জন্য একজন হযরত মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম অর্থাৎ প্রকৃত হাদী থাকেন।” বাতিল পন্থীরা মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবুব ওলীগণ উনাদের বিরোধিতায় লিপ্ত থাকে একথা নুতন নয়, বিস্মিত হওয়ার মতোও নয়। কারণ ইহুদী-নাছারাদের মনোনীত এজেন্ট ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে "সূ'দের গোপন ও প্রকাশ্য কারসাজি মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অপ্রতিরোধ্য হিদায়েতের কারণে নিষ্প্রভ হয়। কায়েমী স্বার্থ রক্ষায় বাতিলপন্থীরা অন্যায় ও দলীলবিহীন বিরোধিতায় হক্ব মিটিয়ে ফেলার অপপ্রয়াসে লিপ্ত থাকে। কিন্তু সবসময় হক্ব বিজয় হয় আর নাহক্ব নিশ্চিহ্ন হয়। 
এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 

يُرِيدُونَ لِيُطْفِؤُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ.

অর্থ: "তারা (বাতিলপন্থীরা) চায় মুখের ফুৎকারে মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত নূর তথা হাদী উনাকে মিটিয়ে দিতে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নূর তথা হাদী উনাকে অবশ্যই কামিয়াবী দান করবেন। যদিও কাফির (বাতিলপন্থীরা) তা পছন্দ করে না। (সম্মানিত সূরা ছফ শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৮)
এখানে যা ফিকিরের তা হলো, সম্মানিত সুন্নত মুবারক আমলের অনেক বিষয় ওলীআল্লাহগণ উনাদের হিম্মত ও অনুশীলনের পর্যায়ভুক্ত থাকে না। তবে মাহবুব ওলীগণ উনাদের প্রত্যাশিত ও অপ্রত্যাশিত অনেক সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার আমল মহান আল্লাহ পাক উনার অবারিত রহমত মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদয় ইহসান মুবারক উনার পূর্ণতা পেয়ে যায়। এ কারণে তাবলীগী, ওহাবী, খারিজী, দেওবন্দী, রেযাখানী, জামাতী, লা মাযহাবীসহ যাবতীয় বাতিল ফিরক্বাসমূহের নাহক্ব বিরোধিতা ওলীআল্লাহগণ উনাদের কাম্য। এতে উনাদের তাজদীদ মুবারক পূর্ণতার পথে প্রবল গতিবেগ পায় এবং উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ইজ্জত-ঐতিহ্য মুবারক নিরন্তন বৃদ্ধি পায়। সুবহানাল্লাহ!!! মুজাদ্দিদে আ'যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিম সালাম উনার ক্ষেত্রে হুবহু তাই ঘটেছে।


★ প্রকাশ্য বাহাছ ও চ্যালেঞ্জ:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ٥
অর্থ: "যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে দলিল পেশ কর।" (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ১১১)

মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সকল বিষয়েই "সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত" সম্মত আক্বীদা মুবারক পোষণ করেন এবং আমল মুবারক করে থাকেন।

সম্মানিত কুরআন শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে পৃথিবীর কেউ বা কোন মহল ক্বিয়ামত পর্যন্ত কোশেশ করলেও সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ'যম আলাইহিস সালাম উনার কোন পবিত্রতম সম্মানিত আক্বীদা মুবারক, আমল মুবারক, ক্বওল শরীফ (কথা মুবারক), কার্যাবলী মুবারক, লিখনী মুবারক, সীরত-ছূরত মুবারক উনাদের মধ্যে কস্মিনকালেও একটিমাত্র ভূল-ত্রুটি উদঘাটন করতে পারবেনা। সূবহানাল্লাহ! কিন্তু এসবক্ষেত্রে দলীল-আদিল্লার ভিত্তিতে বিরোধী পক্ষের আক্বীদা-আমল, কথা-বার্তা, লিখনী, সীরত-ছূরতের মধ্যে ভুল-ত্রুটি উদঘাটিত হলে তা তাদেরকে অবশ্যই তওবা-ইসতিগফার করে ফিরে আসতে হবে এবং মনে-প্রাণে মেনে নিতে হবে। যারা মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে এবং উনার পবিত্রতম আক্বীদা মুবারক ও পবিত্রতম আমল মুবারক সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে তাদের প্রতি শর্ত সাপেক্ষে প্রকাশ্য বাহাছ ও চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘোষণা নিয়েমিতভাবে সম্মানিত "মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” ও "দৈনিক আল ইহসান শরীফ” পত্রিকাদ্বয় উনাদের মধ্যে দেয়া হচ্ছে। এ 'বাহাছ' পৃথিবীর যে কোন জায়গায়, যে কোন সময় হতে পারে। কিন্তু বাহাছের আহ্বানে বাতিলপন্থীরা পূর্বেও সাড়া দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না। কখনো সাড়া দিবে বলেও মনে হয় না। কারণ, বাতিল ও নাহক্ব পন্থীদের দলীলবিহীন লম্ফঝম্ফ কেবল নির্ধারিত বৃত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ছহিবু জামিউল উলূমি ওয়াল হিকাম, ছহিবু জামিউল মাক্বামাত ওয়াল আলক্বাব, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সামনে আসতে ইবলিসের ন্যায় তাদেরও চিরকালের ভয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন