শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

কারামতে সাইয়্যিদাতুল আলামীন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম

কারামত শব্দের অর্থ মান-সম্মান-ইজ্জত। আল্লাহ পাক উনার বিষয়গুলো হচ্ছে কুদরতের অন্তর্ভূক্ত, সবকিছুইতো কুদরত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়গুলো হচ্ছে মু’যিযা শরীফ।
মু’যিযা শরীফ ব্যতীততো সৃষ্টি জগৎ অক্ষম। আর হযরত ছাহাবায়ে ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের বিষয়গুলোকে কারামত বলে। হাকীক্বতে ওলীগণের কারামত মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত এবং উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’যিজা শরীফ উনার অংশ।
সকল ব্যক্তিত্ব উনাদের কারামত কিন্তু এক রকম নয়। অবস্থা ও মর্যাদাভেদে, শান-মান-মাকাম অনুযায়ী কারামত উনার ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
বেমেছাল নববী নিছবত, প্রগাঢ় নবীপ্রেম, অতুলনীয় ইলম ও প্রজ্ঞা ধারনকারিনী, ঈমান ও আক্বীদা নবায়নকারিনী, বেশুমার কারামত সম্পন্না, লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, সুন্নতের পরিপূর্ণ পাবন্দ ও যিন্দাকারিণী, বাতিল-বিদয়াত নিশ্চিহ্নকারীনি, বেমেছাল আমল ও ইস্তিক্বামতের অধিকারিনী, অর্বণনীয় রিয়াযত-মুশাক্বাতকারিনী, সকল তরীক্বায় পূর্ণাঙ্গ কামিয়াবী হাছিলকারিণী, কুরআন শরীফ-হাদীছ শরীফ-ইজমা ও ক্বিয়াস পরিপূর্ণ ধারণকারিনী, হাদীয়ে আ’যম হিসেবে মহিলাদের তালিম-তরবিয়ত ও শাফায়াতকারিনী, সাইয়্যিদাতুন নিছায়িল আলামীন, উম্মুল উমাম আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি খাছভাবে হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বি কায়মোকাম। সুবহানাআল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিছায়িল আলামীন, উম্মুল উমাম আমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার লক্ষ কোটি মুবারক কারামতের মাঝে গুটি কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-
তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত
আমাদের একজন পীরবোন তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মহিলা ডাক্তারকে দেখালে তারা অনেক ওষুধ খেতে বলেন। ওষূধ খেয়ে উনার পেট ব্যথা দূর হয়নি। প্রচন্ড ব্যাথায় তিনি কাতর হয়ে মনে মনে সাইয়্যিদাতুন নিসাইল আলামীন, উম্মুল খাইর, হযরত উম্মুল উমাম আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে তিনি স্বরন করছিলেন। এ অবস্থায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি একটি মুবারক স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখেন, সেই পীরবোনকে বলা হচ্ছে, আপনি রহমত উনার নিকট যান। উনি রহমত উনার নিকট গেলেন। তিনি দেখলেন রহমত তো স্বয়ং সাইয়্যিদাতুন নিসাইল আলামীন, উম্মুল খাইর, হযরত উম্মুল উমাম আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

হারানো চুড়ি কুদরতী ভাবে দান
আমাদের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার একজন পীরবোন তিনি একবার ঢাকা আসেন। ঢাকাতে এসে পীরবোনের হাতের একটি স্বর্নের চুড়ি হারিয়ে যায়। ব্যথিত হৃদয়ে পীরবোন সাইয়্যিদতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খিদমতে পেশ করেন। সাইয়্যিদতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি দয়াদান ইহসান করে পীরবোনকে বলেন, ইনশাল্লাহ্ চুড়ি পেয়ে যাবে। পীরবোন তালিম তালকিন নিয়ে চাপাই নবাবগঞ্জে নিজ বাড়ীতে চলে যান। বেডরুমে প্রবেশ করে তিনি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করেন, বিছানায় বালিশের উপর উনার সেই হারানো স্বর্নেও চুড়িটি দেখা যাচ্ছে। সুবহানাআল্লাহ্। আমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কতো বড় কারামত। সুবহানাল্লাহ!

স্মরণ মুবারকেই সুস্থতা লাভ
আমাদের এক বোনের বুকে বড় ১টা টিউমার হলো ও তিনি তার অপরেশন করানোর জন্য গেলেন। অপারেশন হলো অনেক রক্ত যাচ্ছিল ডাক্তাররা সব চিন্তায় পড়ে গেল। সেই বোন মারা যাবে মনে করছিল, সে সময় সেই বোন সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে স্মরণ করতে থাকেন। হঠাৎ উনার রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যায়। সেই বোন উনার শরীরে এক অদ্ভুদ শক্তি ফিরে পায়। নিজ থেকে সাথে সাথে উঠে বসে আর বলে আমি বাসায় যাবো। তিনি নিজেকে সুস্থ বলে দাবী করেন এবং ডাক্তাররা নিষেধ করার পরও তিনি নিজ থেকে ৪ ঘন্টার রাস্তা পার হয়ে বাড়ি চলে যান। সুবহানাল্লাহ্!

দয়া দান ইহসানে কুদরতী মদদ
আমানবাড়িয়ার এক পীর বোন যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বিহাতুন নিসা, বাহরুল আ’লিমা, যাওজায়ে মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস্ সালাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার থেকে দোয়া মুবারক নিয়ে তা’লীম করতেন। সেই বোন যখন তা’লীম করতেন উনার ননদ উনার প্রতি অনেক বিরোধিতা করত। তিনি যেখানেই তা’লীম দিতে যেতেন সেখানেই উনার ননদ গিয়ে অনেক বাজে ও এলোমেলো কথা বলে আসত। তাই একদিন তিনি কষ্টে অনেক কান্না-কাঁটি করলেন। কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম ও হযরত শাহজাদীদ্বয় আলাইহিমাস্ সালাম উনারা এবং সাথে মাদ্রাসার আপারা উনার বাসায় এসেছেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস্ সালাম তিনি বললেন, ‘তুমি কি এখন তা’লীম করো? সে বোন তিনি বললেন- জ্বী করি; কিন্তু করতে গেলে অনেক বাঁধার সম্মুক্ষীণ হতে হয় এবং তিনি উনার নিজের অসুস্থতা এবং স্বামী ও ননদের বিরোধীতার কথা বললেন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস্ সালাম উনাকে তা’লীম করতে থাকার নির্দেশ মুবারক দিলেন।’ উনি চেষ্টা করতে লাগলেন। 
কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর রহমত, বরকত, সাকীনা ও মাগফিরাত নিয়ে আগমন করলেন সুমহান মাস ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে ইবাদত-বন্দেগী, তা’লীম-তালক্বীনের মাস। এখন পীর বোন তিনিও তা’লীম-তালক্বীন দিতে থাকলেন। কিন্তু তখন উনার কাছে তেমন কোন আল বাইয়্যিনাত শরীফ ছিলনা। এবার তিনি চিন্তায় পরে গেলেন যে, আল বাইয়্যিনাত শরীফ ছাড়া কিভাবে তিনি মহিলাদের মাসয়ালা-মাসায়িল শিক্ষা দিবেন। মহিলারা যদি উনাকে মাসয়ালা-মাসায়িল জিজ্ঞাসা করে তাহলে উনি কি উত্তর দিবেন এসব কথা ভেবে ভেবে তিনি অনেক কাঁদলেন এবং সাইয়্যিদাতুন্ নিসা, ফক্বিহাতুন্ নিসা, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উসীলা দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট গায়েবী মদদের জন্য দোয়া করলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই উনার স্বামী বাড়িতে আসলেন হাতে কিছু আল বাইয়্যিনাত শরীফ নিয়ে। স্বামীর হাতে আল বাইয়্যিনাত শরীফ দেখে সেই পীর বোন আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে, আপনি এই আল বাইয়্যিনাত শরীফগুলো কোথা থেকে পেলেন? উত্তরে উনার স্বামী বললেন যে, একজন পোষ্টম্যান এ বইগুলো আমাকে দিয়েছে আমি যখন তাকে সাইন এর কথা জিজ্ঞাসা করলাম লোকটি বলল সাইনের প্রয়োজন নেই। একথা বলেই লোকটি চলে গেল। পরে সেই পীর বোন দেখলেন যে, খামের উপর আমানবাড়িয়ার সভানেত্রী বলে উনার নাম সুন্দর ভাবে উল্লেখ করা এবং উনার নতুন ঠিকানাও উল্লেখ করা। তিনি অবাক হয়ে ভাবলেন যে আমার নতুন ঠিকানা কে কোথা থেকে পেল? তিনি আল বাইয়্যিনাত শরীফগুলো পেয়ে অনেক খুশি হলেন। 
পরবর্তীতে তিনি অনেক খোঁজ করলেন জানার জন্য যে, এই আল বাইয়্যিনাত শরীফগুলো কে পাঠিয়েছেন উনার কাছে? তিনি আল বাইয়্যিনাত শরীফ অফিসে, মাদরাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত আপাদের কাছে এবং অন্যান্য আপাদের কাছেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন কে এগুলো পাঠিয়েছে। কিন্তু কেউই পাঠায়নি। এভাবে প্রায় দুই বছর পর্যন্ত উনার কাছে বিনা টাকায় আল বাইয়্যিনাত শরীফ পৌঁছে। পরবর্তীতে তিনি হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে জানালে সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন যে, ‘এটা হল হক্বের উপর ইস্তেক্বামত থাকার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ গায়েবী মদদ।’ সুবহানাল্লাহ্! 
ফু মুবারকে সুস্থতা লাভ
নরসিংদীর আমাদের একজন পীরবোন উনার টনসিল হয়েছিল। তিনি খুব কষ্ট অনুভব করছিলেন। স্বপ্নে তিনি আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে দেখেন। পীরবোন উনার খিদমতে টনসিলের বিষয়টি জানালে তিনি মুখ হা করতে বলেন। মুখ হা করলে তিনি ফু মুবারক দেন। ঘুম থেকে উঠে তিনি পূর্ণ সুস্থতা লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!
স্বপ্নেই অকেজো পা ভাল করে দিলেন
চামেলীবাগের এক পীরবোন একবার গাড়ীতে করে কোথাও যাচ্ছিলেন, হঠাৎ সেই গাড়ী দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে সেই পীরবোনের পা এমনভাবে ভেঙ্গে যায় যে, ডাক্তার বলেছে, “আপনার পা আর ফিরে পাবেন না। আপনাকে সবসময় হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হবে।” তিনি এমন অসুস্থ ছিলেন যে, হাসপাতাল থেকে রাজারবাগ শরীফ আসাটাও উনার জন্য সম্ভব ছিলনা। শেষ পর্যন্ত সে পীর বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার উসীলা মুবারক দিয়ে দোয়া করলেন, কান্না কাটি করলেন, তারপর তিনি স্বপ্ন দেখলেন যে- আসমান থেকে ওষুধ, কেচি, গজ, ব্যান্ডেজ পড়ছে আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সেগুলি দিয়ে সেই পীরবোনের পা ব্যান্ডেজ করে দিলেন। অত্যন্ত আশ্চর্যজনক বিষয় যেখানে ডাক্তার বলেছিলো জীবনে কখনও আর উনার পা ভালো হবে না। হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হবে সেখানে এই স্বপ্ন দেখার পর একমাসের মধ্যেই উনার পা মোটামুটি ভাল হয়ে যায়, তিনি হাঁটতে শুরু করলেন। এখন তিনি পুরাপুরি সুস্থ। সুবহানাল্লাহ! 
মুবারক দুয়াতে সুস্থ হয়ে গেলেন
এক পীরবোনের গলায় একবার কাঁটা বেঁধে যায়, যার দরুন গলায় প্রচ- ব্যাথা হচ্ছিল। অনেক চেষ্টা-তদবীর করেও ভাল হলো না। কিছুদিন এভাবেই পার হওয়ার পর দেখা গেল যে হঠাৎ একদিন পীরবোনের গলা দিয়ে আর কোন আওয়াজ বের হচ্ছিল না। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তার পরের দিন আবার উনার বাড়িতে আঞ্জুমান ছিল। কিন্তু তিনি খুব ভেঙ্গে পরেন যে আগামীকাল আঞ্জুমান তিনি কিভাবে আঞ্জুমান করবেন ? কারণ উনার গলার কোন আওয়াজ বের হচ্ছিল না। সকলেই পরামর্শ দিল উনার গলা অপারেশন করতে হবে। সেই মুহূর্তে তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কাছে দোয়া চান সুস্থতার জন্য। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সবকিছু শুনে বললেন, “ভাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্ এবং তুমি আঞ্জুমান করতে পারবে।” পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছেন। গলায় বিন্দু মাত্র ব্যথা নেই এবং তিনি আঞ্জুমানও করতে পেরেছেন। সুবহানাল্লাহ!
নেক দৃষ্টির বদৌলতে সন্তান লাভ
একজন পীরবোন প্রেগনেন্ট অবস্থায় কয়েকবার আল্ট্রাগ্রাম করার পর দেখা গেল একজন সন্তান হওয়ার জন্য যতটুকু গ্রোথ অর্থাৎ বৃদ্ধি প্রয়োজন ততটুকু গ্রোথ হচ্ছে না তখন ডাক্তার বলেছিল, ওয়াশ করার জন্য। তখন সেই পীরবোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে ব্যাপারটা জানালেন তিনি বললেন, “তুমি রেষ্টে থাক।” তিনি উনার কথা মুবারক অনুযায়ী কাজ করলেন, দেখা গেল উনার সুন্দরভাবে সুস্থ সন্তান জন্মগ্রহণ করলো। পরবর্তীতে সেই পীরবোন অন্য একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারকে সেই আল্ট্রাগ্রাম রিপোর্টটা দেখালে সেই ডাক্তার বলেছে যে ঐ রিপোর্ট টাই ভুল ছিল।
মুবারক ইহসানে হাটুর ব্যাথা দূর হয়ে গেল
এক পীরবোন জানালেন যে , একদিন হঠাৎ করে উনার ডান পায়ের হাঁটুতে প্রচ- ব্যাথা। তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছিলেন। কোন ভাবেই পা সোজা করে হাঁটতে পারছিলেন না। তিনি তখন দরবার শরীফে অবস্থান করছিলেন। তিনি ভাবছিলেন কি করবেন বাসায় চলে যাবেন নাকি দরবার শরীফ উনার মধ্যে থাকবেন। তারপর তিনি শেষ পর্যন্ত দরবার শরীফ উনার মধ্যে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত উনার মধ্যে অবস্থান করলেন। দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর্যন্ত ছোহবত মুবারক অর্জনের পর তিনি সম্মানিতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ক্বদমে হাঁটু ব্যাথার কথা জানালেন এবং দোয়া মুবারক চাইলেন। অত:পর তিনি যখন ছোহবত মুবারক থেকে উঠে আসলেন তখন উনার হাঁটুতে কোন ব্যাথাই ছিল না। তিনি দীর্ঘ পথ হেঁটে বাসায় গেলেন এবং হাঁটুতে কোন ব্যাথা অনুভব করলেন না। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক কদমে আশ্রয় দান
একজন পীর বোন আমাদের জানিয়েছেন- ‘আমি আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাওয়ার পর এক দায়িত্বশীল আপার সাথে যোগাযোগ করলাম। এই আপার মাধ্যমে আমাকে পাছ আনফাছ যিকির দেয়া হলো এবং বলা হলো আমি যেন বিপদ আপদে সকল ক্ষেত্রে পাছ আনফাছ যিকির করি। তখন থেকে আমি সব সময় পাছ আনফাছ করতাম অনেক ফায়দা অনুভব করতে লাগলাম। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম এবং হুযুর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের প্রতি মুহব্বত পয়দা হল। শুধু দিন রাত উনাদের কথা ভাবতাম এবং উনাদের দেয়া পাছ আনফাছ মুহব্বতের সাথে করতাম। আর এই দরবার শরীফে কীভাবে আসব এবং উনাদের কখন দেখব এই নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতাম। এদিকে স্বপ্ন দেখি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে কিছু কথা বললেন, “তুমি আমাদের দরবার শরীফে চলে আস, আমরা তোমাকে আশ্রয় দিব।” তখন আমি স্বপ্নের কথা স্বরণ করে ঐ দায়িত্বশীল আপাকে মোবাইল করে বললাম, আপা আমি দরবার শরীফে অবস্থান করতে চাই আপা বললেন যে দরবার শরীফে আসতে হলে আগে আসা যাওয়া করতে হবে আপনিতো এখনো একবারের জন্যেও আসেননি। আমি বললাম, আপনি আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে জানিয়ে দেখুন। আমার বিশ্বাস ছিল যে আমাকে অনুমতি দিবেন কারণ উনিতো স¦প্নেই আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। আমি আপার কাছে স্বপ্নের কথা জানাইনি। তারপর আপা আমার বলার অবস্থা দেখে বললেন আচ্ছা আম্মা হুযুর আলাইহাস সালাম উনাকে জানিয়ে দেখি। যখন তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর আলাইহাস সালাম উনাকে জানালেন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে দরবার শরীফে আসার অনুমতি দিলেন। সুবহানাল্লাহ! এর দ্বারা বুঝা যায় যে উনারা ইলমে গইব উনার অধিকারী এবং উনারা স্বপ্নে যা করে থাকেন, বলে থাকেন তাই হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
হাত মুবারকের স্পর্শে ব্যাথা দূর
আমাদের উত্তর বঙ্গের একজন পীরবোন, উনার বুকে প্রচন্ড ব্যাথা ছিল। উনি সিএমএইচ-এ ডাক্তারদেরকে বিষয়টি বলে চিকিৎসা নেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অবশেষে তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খিদমতে ব্যাথার বিষয়টি জানান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি দয়াদান ইহসান করে পীরবোনের বুকে হাত মুবারক রেখে বলেন, আল্লাহ্ পাক ভালো করে দিবেন। পীরবোনের ব্যাথা চিরতরে দূর হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ্।
তাকবীর মুবারক উনার সুঘ্রাণ
আমাদের একজন পীরবোন দরবার শরীফ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত াড়রপব ৎড়ড়স মুবারক “ ঢ়ধষঃধষশ- ঘড়ড়ৎঁহ অষধধ ঘড়ড়ৎ” - এ আলোচনা মুবারক শুনছিলেন। আলোচনা মুবারক উনার এক পর্যায়ে পীরভাইগণ সাইয়্যিদাতুন্ নিসা, নূরে জাহান, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে তাকবীর দেন। দরবার শরীফ উনার মধ্যে যখন সাইয়্যিদাতুন্ নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে তাকবীর দেয়া হচ্ছিল তখন উক্ত পীরবোনের কম্পিউটারের সাউন্ড বক্স দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ফুলের সুবাস আসছিল এবং সেই সুবাস মুবারক দ্বারা উনার রুম সুবাসিত হয়ে উঠছিল। সুবহানাল্লাহ!
তিনি বড় গাউছূল আযম
আমাদের একজন পীরবোন তিনি হাদীছ শরীফ পড়ছিলেন। হাদীছ শরীফ পড়া অবস্থায় বিদ্যুৎ চলে যায়। পীরবোন সাইয়্যিদাতুন্ নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার দিকে রুজু হয়ে মনে মনে বলেন, ইয়া আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম দয়া করে আলো দান করুন। বলা মাত্রই হাদীছ শরীফ উনার কিতাব থেকে কুদরতী ভাবে আলো বিচ্ছুরিত হতে লাগলো। সাইয়্যিদাতুন্ নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক কারামত জাহির হয়ে গেল। পীরবোন কুদরতী আলোতে হাদীছ শরীফ পড়া শুরু করলেন। সুবহানাল্লাহ্! আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কত বড় গাউছুল আযম।
প্রতিটি আরজু তিনি পূরণ করেন
কক্সবাজারের একজন পীরবোন উনার হাতে কাপড় সেলাই করার সময় অসাবধানতাবশত সুই ঢুকে যায়। উনার আহাল আমাদের পীরভাই তিনি অনেক চেষ্টা করেন সুঁইটি বের করতে। কিন্তু কোনভাবেই সুইটি বের করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তিনি কক্সবাজারের সরকারী হাসপাতালে উনার আহলিয়াকে নিয়ে যান। সেখানে কোন মহিলা ডাক্তার না থাকায় পীরবোন বেপর্দা হওয়ার আশংকায় পুরুষ ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা নেননি। সেখানে দায়িত্বরত নার্সরা বলে এখনই যদি ডাক্তারের মাধ্যমে সুই বের করা না হয় তাহলে পচন ধরবে ও হাত কেটে ফেলতে হবে। উনার আহাল পীরভাই তিনি অন্য হাসপাতালে পীরবোনকে নিয়ে যান। সেখানেও কোন মহিলা ডাক্তার পাওয়া যায়নি। 
এই সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে পীরবোন বাসায় ফিরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার চেহারা মুবারক স্মরণকরে মনে মনে আকুতি আরজু পেশ করেন, “ হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, আপনি আমার মান-ইজ্জত হিফাজত করুন, বেপর্দা হওয়া থেকে হিফাজত করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন।”
সত্যিই! এ আরজু করার সাথে সাথেই পীরবোনের হাত থেকে আপসেআপ সুইটি বের হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ!
উনি সুস্থতা লাভ করলেন এবং অন্তুরের অন্ত:স্থল থেকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার শুকরিয়া আদায় করলেন। 
বেদিশা কে দিশা দান
সুনামগঞ্জের আমাদের একজন পীরভাই বর্ণনা করেন, তিনি একদিন রাতে মুবারক একটি স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখেন বিশাল একটি হাওর। পাশে একটি জমি। জমিতে পীরভাই দাড়িয়ে আছেন। গন্তব্যে যাবেন কিন্তু রাস্তাতো চেনা নাই। এ পরিস্থিতিতে খুব চিন্তিত হয়ে পীরভাই এদিক-সেদিক রাস্তা খোজ করতে থাকেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ করেন সেখানে অত্যাধিক পর্দা সহকারে একজন ব্যক্তিত্ব তিনি আসলেন এবং পীরভাইকে কুদরতী ভাবে পথ দেখিয়ে দিলেন। আগত ব্যক্তিত্বই ছিলেন আমাদের সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সবশেষে আরজু, ভূল-ত্রুটি বেয়াদবী গোস্তাখি অনেক হয়েছে, হে আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম প্রাণপ্রিয়া হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম, সম্মানিত শায়খ, মালিক, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে ক্ষমা সন্তুষ্টি ও নেকদৃষ্টি চাই এবং আজীবন খিদমত করার, গোলামী করার, মুহব্বত করার, মুহব্বত পাওয়ার তৌফিক চাই। আমিন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন