রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬

মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

রঈসুল মুফাসসিরীন, ওলীয়ে কামিল আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার এরূপ ব্যাখ্যা করেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন আখিরী বা শেষ নবী। উনার পরে কেউ নবী হিসেবে আগমন করবে না।” 
আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে যেহেতু আর কেউ নবী হবেন না, সেহেতু নুবুওওয়াতের এ মহান দায়িত্ব পালনের একচ্ছত্র অধিকারী হচ্ছেন যাঁরা উনার ওয়ারিছ, বংশধর বা হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা।
এ সম্পর্কে “তাফসীরে মাযহারী” ৮ম জিঃ ৩২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, “আর এ জন্যই হযরত পীর-মাশায়েখগণ উনাদের অনেক সিলসিলা দেখা যায়, যা হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমামগণ পর্যন্ত শেষ হয়েছে এবং অসংখ্য হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম অতীত হয়েছেন যাঁরা এ (সাইয়্যিদ) বংশেরই অন্তর্ভুক্ত। যেমন, গাউছে ছাক্বালাইন, মুহিউদ্দীন হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমামুদ দুনিয়া ফি ইলমিল ফিক্বহে ওয়াত তাছাউফ, আল্লামা বাহাউদ্দীন নকশবন্দী বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, আল্লামা সাইয়্যিদ মওদূদ চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সুলতানুল আরিফীন, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত সাইয়্যিদ খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি, মুজাহিদে আ’যম, শহীদে আ’যম, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ সাইয়্যিদ হযরত আবুল হাসান সাজালী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ। 
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান যামানায় বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন- 
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, খাজায়ে খাজেগা, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা; 
* সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আলীমাহ, ফক্বীহাহ, ফাছীহাহ, বালীগাহ, তাযকীয়্যা, তাওসীয়া, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি;
* ত্বাহিরা, তইয়িবা, মাহবুবা, ফাক্বীহা, মাশুক্বা, তাওসীয়া, তাকরীমা, তাক্বিয়্যা, তাযকীয়্যা, নূরে হাবীবা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, উম্মু আবীহা, ক্বায়িম-মাক্বামে যাহরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, নক্বীবাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ঊলা ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি;
* লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, ত্বাহিরা, ত্বইয়িবা, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুকাহ, গফীরাহ, নাছিবাহ, রহীমাহ, রফীক্বাহ, হাবীবাহ, নূরিয়্যাহ, ফখরিয়্যাহ, ফারীদাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ, ছামীনাহ, ছা’ইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি;
* খলীফাতুল উমাম, ছাহিবে জামিউল মাক্বামত, জামিউল আলক্বাব, ওলীয়ে মাদারযাদ, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, আল মানছূর, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত শাহযাদা আক্বা ক্বিবলা কা’বা আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী আলাইহিস সালাম তিনি;
* জামিউল আলক্বাব, কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, নকশায়ে হায়দার, আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি;
* হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি।
* লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাইহানাতা মুর্শিদিনা, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, জান্নাতী নূরাইন, শাহী বুশরাদ্বয়, নক্বীবাতুন নিসায়ী, আকরামে রহমানী, হাবীবাতুল্লাহ, ত্বাহিরা, ত্বইয়িবা, সাইয়্যিদাতা নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতাল উমাম, আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, হযরত শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাতাইন আলাইহিমাস সালাম উনারা;
* লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, জামিউল আলক্বাব, সাইয়্যিদুল উমাম, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, ইমামুছ ছাক্বালাইন, ইমামুল মুহসিনীন, আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, হযরত শাহ নাওয়াসা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি;
* লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, হযরত শাহ নাওয়াসী ছালিছা ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি।
* লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, হযরত শাহ নাওয়াসী র্আ রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি।
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চান হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে অর্থাৎ উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেছেন।” (সুবহানাল্লাহ!) (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩) 
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “নিশ্চয়ই খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করে থাকেন। কাজেই হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নূরানী শান মুবারকে দুরূদ শরীফ পাঠ করো এবং সালাম দেয়ার যথার্থ নিয়মে সালাম দাও।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত কা’ব বিন উজরাতা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন- ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা কিভাবে আপনার মুবারক শানে পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবো? তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুরূদে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে সরাসরি পাঠ করে শুনিয়েছেন। যথা- উল্লেখ্য যে, বর্ণিত পবিত্র দুরূদে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে সাধারণভাবে পবিত্র নামাযের মধ্যেই পাঠ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাহলে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই পবিত্র নামায উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাথে উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস উনাদের শানেও পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন।
অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ না করলে নামায পূর্ণরূপে আদায় হয় না। অর্থাৎ উনাদের প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ পবিত্র ইবাদত ও দোয়া পরিপূর্ণ ও কবুল হওয়ার প্রধান উসীলা। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- হে হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম! আপনাদের মর্যাদা-বুযুর্গী সম্মান কতই-না ঊর্ধ্বে! কতই-না উত্তম! যতক্ষণ পর্যন্ত আপনাদের উপর পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কারো নামাযও কবুল হয় না। সুবহানাল্লাহ!
ইমামুস সাদিস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন- যদি হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করার কারণে মানুষ আমাকে রাফিজী বলে, তবে আসমান-যমীন সাক্ষী থাকুক যে, আমি রফিজী। (হিলইয়াতুল আউলিয়া)
উপরোক্ত মুবারক বর্ণনাসমূহ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারকে ছলাত বা দুরূদ শরীফ পাঠ করাকে ঈমানদার বান্দা-বান্দী তথা উম্মতের জন্য আবশ্যক বা ফরয-ওয়াজিব করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়া স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে সালাম মুবারক পেশ করেছেন। আমভাবে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার অসংখ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের শানে সালাম মুবারক পেশ করার বর্ণনা এসেছে। যেমন- পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমনিভাবে উপরোল্লিখিত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সালাম মুবারক জানিয়েছেন, তেমনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকেও সালাম মুবারক জানিয়েছেন।
যেমন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আল-আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপরে সালাম।” (পবিত্র সূরা আছছফাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩০)
কাজেই, বিশ্ববাসীর জন্য নিরাপত্তা দানকারী, নাজাত দানকারী, ধ্বংস থেকে রক্ষাকারী, পবিত্র ঈমান ও আমল হিফাযতকারী হযরত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করলে, উনাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় যথা- পবিত্র বিলাদত শরীফ, পবিত্র আক্বীকা শরীফ, পবিত্র নিকাহ শরীফ ইত্যাদি সবকিছু যথাযথ শান-মান, জওক-শওক-এর সাথে পালন করলে ও সর্বোচ্চ আর্থিক খিদমত করলে তথা চরম খুশি প্রকাশ করলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়া যাবে। 
এ মর্মে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে খাওয়া পরার যে নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন সেজন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন